সাময়িক স্বস্তি পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর চার কর্তাকে। তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট।
দুর্ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় আরসিবির মার্কেটিং প্রধান নিখিল সোসালে-সহ চার কর্তাকে। কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি এসআর কৃষ্ণ কুমার তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। তবে তাঁদের পাসপোর্ট পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে। অর্থাৎ, দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না ওই চার কর্তা। তদন্তের কারণে পুলিশ তাঁদের ডাকলে হাজিরা দিতে হবে চার কর্তাকে।
সোসালেদের আইনজীবী সন্দেশ চৌটা আদালতে জানান, এফআইআর-এ কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আলাদা করে অভিযোগ করা হয়নি। তা হলে কী ভাবে ওই চার জনকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ? জবাবে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল শশী কিরণ শেট্টি জানান, রোড শোয়ের কোনও অনুমতি আরসিবি নেয়নি। তারা সমাজমাধ্যমে উল্লাসের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরে তা মুছে দেওয়া হয়। সরকারকে শুধু উৎসবে যোগদান করার আমন্ত্রণ পাঠায় দল। কিন্তু কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনার দায় তাদের নিতেই হবে।
আরও পড়ুন:
বিরাট কোহলিরা আইপিএল জেতার পর সমাজমাধ্যমে বেঙ্গালুরুর দল কী কী ঘোষণা করেছিল তার প্রমাণ আদালতে জমা দেন শশী। এমনকি, তিনি এ-ও অভিযোগ করেন যে সোসালে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পালানোর সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, যে দুর্ঘটনা হয়েছে তার দায় শুধুমাত্র কয়েক জনের হতে পারে না। এর দায় অনেকের। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চার জনকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন তিনি।
গত ৩ জুন পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথম বার আইপিএল জেতে বেঙ্গালুরু। তার পরেই কোহলি জানিয়েছিলেন, ৪ জুন বেঙ্গালুরুতে উৎসব হবে। পরের দিন সকাল থেকেই বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ভিড় জমেছিল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তার পরে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার দায় কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও আরসিবি-র উপর চাপিয়েছে কর্নাটক সরকার। ঘটনার তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই চার কর্তা জামিন পাওয়ায় সাময়িক স্বস্তি পেল আরসিবি।