১২ ওভারে তখন কেকেআরের রান ১৪৯। ব্যাট করছেন অজিঙ্ক রাহানে ও বেঙ্কটেশ আয়ার। প্রতি ওভারে বড় রান হচ্ছে। ম্যাচ জিততে তখন ৪৮ বলে ৯০ রান দরকার কেকেআরের। ঠিক সেই সময় একটি চালাকি করেন ঋষভ পন্থ। কাজে লেগে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়কের পরিকল্পনা। ম্যাচ শেষে সেই পরিকল্পনার কথা জানালেন পন্থ।
১৩তম ওভারের আগে পন্থকে দেখা যায় মাঠে শুয়ে রয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, কোমরে ব্যথা হচ্ছে তাঁর। লখনউয়ের ফিজিয়ো নেমে তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন। কয়েক মিনিট সময় নষ্ট হয় তাতে। খেলা বন্ধ থাকে। খেলা শুরু হওয়ার পর সেই ওভারেই আউট হন রাহানে। তার পর থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হারে কেকেআর।
পন্থ জানিয়েছেন, খেলার গতি কমানোর জন্য ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে লখনউয়ের অধিনায়ক বলেন, “অনেক ভেবেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন কলকাতা ভাল ব্যাট করছিল। মনে হচ্ছিল হেরে যাব। তাই কিছু একটা করতেই হত। ওদের ছন্দ নষ্ট করার প্রয়োজন ছিল। সেটাই করেছি। কখনও সেই পরিকল্পনা কাজে লেগে যায়। কখনও লাগে না। এই ম্যাচে লেগেছে।”
আরও পড়ুন:
সেই সময় প্রতি ওভারে বড় শট মারছিলেন রাহানে ও বেঙ্কটেশ। তেমন পরিস্থিতিতে ব্যাটারেরা চান টানা ব্যাট করে যেতে। কিন্তু যদি মাঝে সময় নষ্ট হয় তা হলে ব্যাটারের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। আবার নতুন করে শুরু করতে হয় তাঁকে। তাতে অনেক সময় আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনটাই হয়েছে কেকেআরের। পর পর উইকেট হারিয়ে জেতা ম্যাচ হেরেছে তারা।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও একই চালাকি করেছিলেন পন্থ। বিশ্বকাপ জিততে তখন ২৪ বলে ২৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ঠিক সেই সময় পন্থ জানান তাঁর হাঁটুতে সমস্যা হচ্ছে। ফিজিয়ো মাঠে নামেন। সময় নষ্ট হয়। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ক্লাসেন। সেই পরিস্থিতি থেকে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত বিশ্বকাপ জেতে। পরে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও পন্থের বুদ্ধির প্রশংসা করেছিলেন। আরও এক বার সেই চালাকি কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতলেন পন্থ।