লোকেশ রাহুল। —ফাইল চিত্র।
বলেছিলেন লোকেশ রাহুল তাঁর ঘরের লোক। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টস সেই রাহুলকে দলে রাখল না। আর রিটেনশন শেষে সঞ্জীব গোয়েন্কা জানালেন, তেমন ক্রিকেটারদের দলে রাখা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে জেতার মানসিকতা রয়েছে। ঘুরিয়ে কি রাহুলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলার শিল্পপতি?
গত বারের আইপিএলে মাঠের মধ্যে রাহুলকে ভর্ৎসনা করেছিলেন গোয়েন্কা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারের ধরন পছন্দ হয়নি মালিকের। মাঠের মধ্যেই শাসন করেন তৎকালীন অধিনায়ককে। যা নিয়ে অনেকেই গোয়েন্কার সমালোচনা করেন। কিন্তু তিনি বার বার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, রাহুলের সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। রাহুলকে দলে রাখা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তিনি ঘরের লোক। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা গেল সেই রাহুল ঘর ছাড়া হলেন। নিলামে উঠবেন তিনি। আরটিএম করে দলে ফেরানোর সুযোগ রয়েছে, কিন্তু তা মনে হয় লখনউ করবে না।
রিটেনশনের পর গোয়েন্কা বৃহস্পতিবার বলেন, “নিকোলাস পুরানকে রাখতেই হত। মাত্র দু’মিনিট সময় খরচ হয়েছে এই সিদ্ধান্ত নিতে। কোন কোন ক্রিকেটারকে নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে আমাদের খুব সহজ একটা নীতি ছিল। যে ক্রিকেটারের ম্যাচ জেতার মানসিকতা রয়েছে, তাঁকে নেওয়া হবে। যে ক্রিকেটার নিজের আগে দলকে রাখে, তাঁকে নেওয়া হবে। আমাদের বোলিং আক্রমণ খুব শক্তিশালী। সেই কারণে আমরা তিন জন বোলারকে (রবি বিশ্নোই, মায়াঙ্ক যাদব এবং মহসিন খান) রেখেছি। আয়ুষ (বাদোনি) খেলবে ছয় বা সাত নম্বরে।”
জাহির খানকে মেন্টর হিসাবে নিয়েছে লখনউ। তিনি রাহুলকে নিয়ে খুশি নন বলেই শোনা গিয়েছিল। লখনউয়ের নতুন মেন্টর এবং কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার গত মরসুমের ম্যাচ ধরে ধরে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের মতে রাহুল মাঝের ওভারে খেললে দলের হারের সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ, যে সব ম্যাচে রাহুল বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে ছিলেন সেই সব ম্যাচ লখনউ হেরেছে। লখনউয়ের হয়ে ওপেন করেন তিনি। রাহুল তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলে লখনউ জিতেছে। রাহুলের মতো এমন ওপেনার জাহিরেরা চাইছেন না, যিনি অনেক ক্ষণ সময় নিচ্ছেন ক্রিজ়ে থিতু হতে। ২০২৪ সালের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৫২০ রান করেন রাহুল। তাঁর গড় ৩৭.১৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৬.১২। চারটি ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy