তখন মাঠে: মিতালি ও রিচা। ফাইল চিত্র।
ট্যুইট করে মিতালি রাজ যখন নিজের ২৩ বছরের ক্রিকেট জীবনের অবসরের ঘোষণা করেন, তখন অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরই এক সতীর্থ, রিচা ঘোষ। শিলিগুড়ি থেকে উঠে আসা রিচার কাছে বুধবার খবরটা পৌঁছল অনুশীলনের মাঠেই। শোনার পরেই তাঁর স্মৃতিতে ঝলসে উঠল ‘মিতুদি’র সঙ্গে কাটানো দিনগুলির নানা কথা। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের অবসর সেই স্মৃতিকেই উস্কে দিয়েছে। রিচার চোখে তাঁর মিতুদি ‘কিংবদন্তী ক্রিকেটার’। তাঁর সম্পর্কে বলার যেন শেষ নেই।
রিচা জানান, মিতালি রাজকে রিচা প্রথম দেখেন, যখন বাংলার হয়ে তিনি সিনিয়র দলে খেলছেন রেলের বিরুদ্ধে। মিতালি রেলের হয়ে খেলেন। বাংলা সে বার চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ওই ক্রিকেটার তখনই নজর কেড়েছিলেন তাঁর। তার পর যখন দেশের জার্সি গায়ে উঠেছে, রিচার তখন ‘মিতুদি’র সঙ্গে একই দলে খেলার সুযোগ এসেছে। বস্তুত, এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অস্ট্রেলিয়া সফর, ইংল্যান্ড সফর। তার পরে নিউজিল্যান্ড সফর তথা বিশ্বকাপে মিতালি রাজের দলে শিলিগুড়ির রিচা।
রিচার বক্তব্য, সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফর তথা বিশ্বকাপে মিতালির সঙ্গে তাঁর শতরানের ‘পার্টনারশিপ’ না বললেই নয়। রিচা বলেন, ‘‘মিতুদির সঙ্গে ১০০ রানের পার্টনারশিপটা ভোলার নয়। ওটা বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড সফরে। ওই রকম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমি যখন অর্ধশত করলাম, মিতুদি আমার সঙ্গে মাঠে পিচে দাঁড়িয়ে। ওঁর অভিনন্দন আরও বেশি সাহস জুগিয়েছে।’’
খেলার নানা ক্ষেত্রে সতীর্থদের কী ভাবে সাহায্য করতেন মিতালি, নিজের ক্রিকেট জীবনেও সেটা বুঝতে পেরেছেন রিচা। বলেন, ‘‘আমি ওঁর সঙ্গে খেলেছি সেটাই আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। মাঠ নিয়ে নানা কিছু বলতেন। ওঁর পরামর্শ অনেক কাজে লাগে। সেগুলো মন দিয়ে শুনতাম। অনেক অভিজ্ঞতা। পরিশ্রম করার মানসিকতা, মাঠে সব সময় ‘সিরিয়াস’ মনোভাব, প্রস্তুত কী করে হতে হবে, ওঁকে দেখে অনেক কিছু শেখা যায়।’’
রিচার কথায়, মাঠে নিজেকে ঠিক করতে নানা সময়ই মিতালির সাহায্য পেয়েছেন তিনি। রিচা বলেন, ‘‘ অনেক সাহায্য পেয়েছি। বলে শেষ করা যাবে না। মিতুদি অবসর নেওয়ায় মাঠে ওঁর অভাব অনুভব করব।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy