Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩
Mithali Raj

Mithali Raaj: বিশ্বকাপে মিতালির ভরসা তরুণ ব্রিগেডই

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ নিয়ে কতটা উত্তেজিত অধিনায়ক? মিতালি বলে দিলেন, ‘‘খুব ভাল একটি ম্যাচ হতে চলেছে। দু’দলই জিততে মরিয়া। তার উপরে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। যার উপরে প্রতিযোগিতার সামগ্রিক ছন্দ নির্ভর করবে। ম্যাচে নামার তর সইছে না।’’

ইতিবাচক: বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে সন্তুষ্ট মিতালি। ফাইল চিত্র

ইতিবাচক: বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে সন্তুষ্ট মিতালি। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৩৮
Share: Save:

মেয়েদের পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ৬ মার্চ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নামার আগে দল নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট ভারতীয় অধিনায়ক মিতালি রাজ। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-৪ একদিনের সিরিজ় হারলেও তিনি মনে করেন, পাঁচটি ম্যাচ খেলার পরে সে দেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছেন মেয়েরা। বিশ্বকাপে তাই খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সেই সঙ্গেই মিতালির ইতিবাচক মনোভাবের বড় কারণ দলের তরুণ ব্রিগেডের পারফরম্যান্স। সম্প্রতি বাংলার রিচা ঘোষ ভারতীয় মহিলা হিসেবে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির নজির গড়েছেন। ভাল শুরু করেছেন শেফালি বর্মা। পূজা বস্ত্রকর, মেঘনা সিংহের বোলিংও নজর কেড়েছে নিউজ়িল্যান্ড সিরিজ়ে। পাশাপাশি শেষ ম্যাচে ছন্দে ফিরেছেন সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও। বিশ্বকাপের আগে দলকে চাঙ্গা করে দেওয়ার পক্ষে যা যথেষ্ট।

শনিবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে চারটেয় ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে মিতালি বলেন, ‘‘প্রথম দু’টি ম্যাচের দল আমি ঠিক করে ফেলেছি। আসন্ন প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় তাদের খেলার সময় দিতে হবে। বাকিদেরও তৈরি রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে তারাও দলকে সাহায্য করতে পারে।’’ যোগ করেন, ‘‘নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে একদিনের সিরিজ়েও সকলে পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে। প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক নেই। এ বার বিশ্বকাপের মঞ্চে আমরা কী রকম খেলি,
সেটাই দেখার।’’

ভারতীয় দলের তরুণদের নিয়ে কফি খেতে যাওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছেন মিতালি। সেখানেই তিনি নানা ধরনের মূল্যবান পরামর্শ দেন রিচা ঘোষ, শেফালিরা। কী পরামর্শ দেন? মিতালি বলছিলেন, ‘‘ওরা প্রত্যেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছে। বিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তবে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই ওদের। সেটা একটা ইতিবাচক দিক। ওদের মধ্যে সেই চাপটা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। ঠান্ডা মাথায় খেলার পরামর্শ দিই। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে যত চাপ নেবে, ততই নিজের খেলার অবনতি হতে থাকবে। খোলা মনে ওদের খেলতে দেওয়া উচিত।’’ যোগ করেন, ‘‘তরুণ ব্রিগেড প্রমাণ করেছে, এই পর্যায়ে খেলতে ওরা তৈরি। রিচা, শেফালি, পূজারা দেখিয়ে দিয়েছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের চেয়ে কোনও অংশে ওরা কম নয়।’’

মিতালি মনে করছেন, শেষ বারের বিশ্বকাপ দল থেকে বিশেষ কয়েকজন ক্রিকেটারকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তই ভারতীয় দলের আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘ঝুলনদি, হরমন, স্মৃতি, দীপ্তিরা দলের মেরুদণ্ড। তাদের সঙ্গে তরুণ ব্রিগেডের মিশেল আমাদের শক্তি বাড়াতে বাধ্য। খুব ভাল একটি বিশ্বকাপের আশায় রয়েছি।’’

ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে মিতালির স্ট্রাইক রেটে উন্নতি হয়েছে। বরাবরই মন্থর গতিতে রান করার জন্য সমালোচিত হতেন তিনি। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজ়ে তিনিই ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী। মোট ২৩২ রান করেছেন, ৮২.৫৬ স্ট্রাইক রেটে। যা নিয়ে অধিনায়ক নিজেও স্বস্তিবোধ করছেন। বলেছেন, ‘‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে সত্যি খুশি। ভাল ছন্দে রয়েছি। দ্রুত গতিতে রান করছি। বিশ্বকাপেও এই ছন্দ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।’’ শেফালি, রিচা, স্মৃতি, হরমনপ্রীতদের রানের গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই তাঁর। বরং ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে তৈরি অধিনায়ক। ব্যাটিং বিভাগ নিয়েও তাঁর কোনও চিন্তা নেই। প্রত্যেক ম্যাচেই রান করেছেন ব্যাটাররা। তবে বোলিং বিভাগ সেই রান আটকাতে ব্যর্থ। মিতালি বলছিলেন, ‘‘বোলারদের ক্রমাগত এক লাইনে বল করে রান আটকানোর কাজ করতে হবে। উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করলেই রান বেরিয়ে যাবে। কারণ ব্যাটারদের স্বর্গ এই উইকেটগুলো। স্পিনারদেরও চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারদের বেশি মারার জায়গা না দিতে। রান আটকে দিতে পারলে উইকেট এমনিই আসবে।’’

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ নিয়ে কতটা উত্তেজিত অধিনায়ক? মিতালি বলে দিলেন, ‘‘খুব ভাল একটি ম্যাচ হতে চলেছে। দু’দলই জিততে মরিয়া। তার উপরে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। যার উপরে প্রতিযোগিতার সামগ্রিক ছন্দ নির্ভর করবে। ম্যাচে নামার তর সইছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE