ন’বছর দায়িত্ব সামলানোর পর ২০২১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব ছাড়েন বিরাট কোহলি। নতুন অধিনায়ক করা হয় ফাফ ডুপ্লেসিকে। ২০২১ নয়, আরও দু’বছর আগেই নাকি কোহলির নেতৃত্ব যেত। তাঁকে অধিনায়ত্ব থেকে সরানোর ভাবনা শুরু হয়েছিল। সেই গোপন কথা ফাঁস করেছেন কোহলির এক সময়ের সতীর্থ মইন আলি।
২০১৯ ও ২০২০ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছিলেন মইন। সেই সময় দলের কোচ ছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। তিনিই নাকি কোহলিকে সরাতে চেয়েছিলেন। বদলে অধিনায়ক করতে চেয়েছিলেন পার্থিব পটেলকে। ‘স্পোর্টসতক’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মইনকে প্রশ্ন করা হয়, সত্যিই কোহলির বদলে পার্থিবকে অধিনায়ক করার পরিকল্পনা বেঙ্গালুরু করেছিল কি না। জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ। পরিকল্পনা হয়েছিল। কোহলিকে সরানোর কথা হয়েছিল।”
মইন জানিয়েছেন, দীর্ঘ সাত বছর অধিনায়কত্বের পরেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারায় কোচ বদলাতে চেয়েছিলেন কার্স্টেন। মইন বলেন, “কার্স্টেনের সেটা দ্বিতীয় বছর ছিল। আমার মনে আছে, পার্থিব পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিল। পার্থিবের ক্রিকেট মস্তিষ্ক প্রখর। সেই জন্যই ওর কথা ভাবা হয়েছিল। তখন এই বিষয়েই দলে আলোচনা হত।”
আরও পড়ুন:
কিন্তু তার পরেও কোহলির অধিনায়কত্ব যায়নি। তবে কি কোচের সিদ্ধান্তে খুশি ছিল না দল? তাই সরানো যায়নি কোহলিকে? নেপথ্য কারণ জানেন না মইন। তিনি বলেন, “আমি জানি না পরে কী হয়েছিল। কেন কোহলিকে সরানো হল না, তার জবাব আমার কাছে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, কোহলিকে সরানো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল।”
২০০৮ সাল থেকে বেঙ্গালুরুতে খেলছেন কোহলি। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ১৮ বছর ধরে একটা দলেই খেলেছেন। ২০১৩ সালে কোহলিকে অধিনায়ক করে বেঙ্গালুরু। ২০১৬ সালে দলকে ফাইনালে তোলেন তিনি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বেঙ্গালুরু। ২০২১ সালে কোহলি জানিয়ে দেন, অধিনায়কত্বের বোঝা আর নিতে চান না। শুধু ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে চান। কোহলিকে সরিয়ে ডুপ্লেসিকে অধিনায়ক করেও সাফল্য আসেনি। গত মরসুমের আগে রজত পাটীদারকে অধিনায়ক করে বেঙ্গালুরু। প্রথম বছরেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। ১৮তম বছরে আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কোহলি।