কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেকেই নজর কাড়লেন সিরাজ। ফাইল ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পরেই বল হাতে জ্বলে উঠলেন মহম্মদ সিরাজ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপের জন্য হায়দরাবাদের জোরে বোলারের কথা বিবেচনাই করেননি জাতীয় নির্বাচকরা। অথচ ইংল্যান্ডের মাটিতে আগুন ঝরল সিরাজের বোলিংয়ে।
দল থেকে বাদ পড়েই কি রেগে গেলেন সিরাজ? তাঁর সেই রাগের মাশুল দিতে হল সমারসেটের ব্যাটারদের? প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ যাই হোক, কাউন্টি ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন সিরাজ। ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টিতে অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিলেন ভারতীয় জোরে বোলার।
কাউন্টি ক্রিকেটের প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে এজবাস্টনে মুখোমুখি হয়েছে ওয়ারউইকশায়ার এবং সমারসেট। সেই ম্যাচেই বল হাতে বিপক্ষকে নাজেহাল করলেন সিরাজ। পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটার ইমাম উল হককে আউট করে প্রথম ধাক্কা দেন তিনি। সমারসেট এক উইকেট হারিয়ে ১৭ রান করার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলা শুরু হলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন সিরাজ। পর পর দু’বলে আউট করেন জর্জ ব্রাটলেট এবং উইকেট রক্ষক-ব্যাটার জেমস রেউকে। পরে সিরাজ সাজঘরে ফেরান সুইস গ্রেগরিকে। তিনি ৯৭ বলে ৬০ রান করে সমারসেটের ব্যাটিং বিপর্যয় রোখার চেষ্টা করেন।
প্রথম দিন চার উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় দিন নিজের পঞ্চম উইকেট নেন সিরাজ। আউট করেন জস ড্যাভিকে। প্রথম ইনিংসে ৮২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মূলত তাঁর দাপটেই ২১৯ রানে শেষ হয়ে যায় সমারসেটের ইনিংস। উল্লেখ্য, ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে এই ম্যাচে খেলছেন ভারতের আর এক ক্রিকেটার। অলরাউন্ডার জয়ন্ত যাদব ৪২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন।
সমারসেটের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ ওয়ারউইকশায়ারের কাছে অবনমন বাঁচানোর লড়াই। হারলেই কাউন্টির দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যেতে হবে তাদের। অবনমন বাঁচাতেই ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের পর সিরাজকে সই করিয়েছিল তারা। কাউন্টি দলের সেই আস্থার মর্যাদা রাখলেন সিরাজ। একই সঙ্গে হয়তো বার্তা পৌঁছে দিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে বিবেচনা না করা জাতীয় নির্বাচকদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy