মহম্মদ শামি। — ফাইল চিত্র।
গত বছর বিশ্বকাপে প্রথম চারটি ম্যাচে সুযোগ পাননি। বাকি ম্যাচগুলি খেলেছিলেন চোট নিয়েই। তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন। তবে দলকে ট্রফি জেতাতে পারেননি। সেই নিয়ে আক্ষেপ নেই মহম্মদ শামির। দরকারে আবারও চোট নিয়ে খেলতে রাজি তিনি। একই সঙ্গে, মুগ্ধ রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বেও।
শনিবার আলিপুরের ধন ধান্য অডিটোরিয়ামে সিএবি-র বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একটি টক শোয়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলার পেসার।
বিশ্বকাপের চোট এবং ভবিষ্যৎ
গত বছরের বিশ্বকাপ নিয়ে শামি বলেছেন, “গত বছর বিশ্বকাপে চোট নিয়েই খেলেছিলাম। ভেবেছিলাম, ছিটকে গেলেও যেন দলকে বিশ্বকাপ দিয়ে যেতে পারি। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। আফসোস রাখিনি। চোট থাকলেও কখনও পিছিয়ে যাইনি।”
বিশ্বকাপের সেই চোট সারাতে গিয়ে এখনও মাঠে নামা হয়নি শামির। তা নিয়েও বিশেষ দুঃখ নেই তাঁর। বলেছেন, “আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে চোট নিয়েও খেলতে পারব। আগেও অনেক ম্যাচে আমায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুযোগ পাইনি। তবে বিশ্বাস রেখেছি যে মাঠে নামলে নিজের সেরাটা দিতে পারব। মানসিকতার বদল হয়নি। আমি কঠোর পরিশ্রম করি। যত বার পারব, তত বার উঠে দাঁড়াব। নিজের উপর বিশ্বাস হারাতে চাই না।”
অধিনায়ক রোহিত শর্মা
অধিনায়ক রোহিতেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শামি। বলেছেন, “রোহিতকে যে কোনও সময় ফোন করলে ধরবে। এমনই অধিনায়ক ও। সবার সঙ্গে সমান সম্পর্ক। আমার মনে হয় সবার সঙ্গে রোহিতের সম্পর্ক ভাল। ওর মতো ধৈর্যশীল অধিনায়কই হওয়া উচিত। সতীর্থদের সঙ্গে সব সময় ভাল সম্পর্ক রাখে। সব সময় আমাদের ফোন তোলে।”
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
উঠে এসেছে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের কথাও। শামি জানিয়েছেন, আলাদা করে প্রস্তুতি তিনি নিচ্ছেন না। তবে যে ভাবে ভারতীয় দল অতীতে দু’বার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের হারিয়েছে, তাতে খুশি। বলেছেন, “আমাদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ভাবতেই হবে। আমরা দু’বার ওখানে জিতেছি। ওদের বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আগে অস্ট্রেলিয়াকে ওদের মাটিতে কেউ হারাতে পারত না। চিন্তা অস্ট্রেলিয়ার থাকা উচিত।”
বাংলার ক্রিকেট
পুরস্কারমঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শামি। তিনি বলেন, “বাংলা, সিএবি এবং যাঁরাই আমার পাশে ছিলেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। এমন একটা গ্রামে জন্ম হয়েছিল যেখানে কোনও পরিষেবা ছিল না। আমার উত্তরপ্রদেশে জন্ম। তবে তৈরি করেছে বাংলা। তাই এটা একটা লম্বা যাত্রা। ২০-২৫ বছর লেগেছে। টিভিতে ক্রিকেট দেখারও সুযোগ ছিল না আমাদের কাছে। এখনকার প্রজন্ম যা চায় এক সেকেন্ডে দেখতে পারে। এই দূরত্বটা পেরোতে ২০-২২ বছর লেগেছে। লোকে বলে আমি নাকি বাংলা বলতে পারি না। কিন্তু আমি বুঝি এবং বলতেও পারি। কেউ যদি আমার সঙ্গে বাংলায় কথা না বলে আমি কী করব। ঋদ্ধিমান আমার সঙ্গে সব সময় কথা বলে।”
মহিলাদের ক্রিকেটের জন্য সিরিজ়
মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন শামি। মহিলা ক্রিকেটারদের কথা আরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁর মধ্যে। এ বিষয়ে শামি বলেন, “মহিলাদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমি এটা নিয়ে একটা সিরিজ়ও করছি। এখনও আমাদের দেশে কিছু পরিবারে মহিলাদের ক্রিকেট খেলার সুবিধা নেই। ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে তফাত রয়েছে। আমি চাই এটা যেন না হয় এবং ভারতের হয়ে আরও অনেক মেয়ে ক্রিকেট খেলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy