পিচের মাঝে ধাক্কা খেয়ে চিৎপাত দুই ব্যাটার। তবু তিন বারের চেষ্টাতেও কাউকে রান আউট করতে পারলেন না ফিল্ডারেরা! এমনই মজার ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্র প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগে।
প্রতিযোগিতার এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিল কোলাপুর টাস্কার্স এবং রায়গড় রয়্যালস। ব্যাট করছিলেন রায়গড়ের ভিকি অস্টওয়াল। বোলার ছিলেন কোলাপুরের আত্মান পোরে। একটি বল ব্যাক ফুটে গিয়ে কভার ড্রাউভ মারেন ভিকি। দূরে ফিল্ডার থাকায় দৌড়ে ২ রান নেওয়ার চেষ্টা করেন ভিকি এবং তাঁর সঙ্গী। কিন্তু তার পরই ঘটে বিপত্তি। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় একে অপরকে লক্ষ্য করেননি। পিচের মাঝখানে সরাসরি ধাক্কা খান দুই ব্যাটার। দু’জনেই পড়ে যান। তত ক্ষণে ফিল্ডার বল তুলে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন উইকেটরক্ষককে। উইকেটের কাছেই ছিলেন তিনি। পিচের মাঝখানে তখনও পড়েছিলেন ভিকি। অথচ তাঁকে রান করার অতি সহজ সুযোগ কাজে না লাগিয়ে উইকেটরক্ষক বল ছুড়ে দেন বোলারকে। আত্মান বল পেয়ে উইকেট ভাঙার ঠিক আগেই ক্রিজ়ে পৌঁছে যান ভিকির সঙ্গী ব্যাটার। ফলে তিনিও আউট হননি। নাটক এখানেই শেষ হয়নি।
ভিকি পিচেই পড়েছিলেন। তা দেখে আত্মান বল দেন এক সতীর্থকে। ওই ফিল্ডার দূর থেকে উইকেট ভাঙার চেষ্টা না করে দৌড়ে কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। তত ক্ষণে ভিকিও উঠে পড়েন। দৌড়তে শুরু করেন। তিনি ক্রিজ়ে ঢোকার আগেই ফিল্ডার দ্রুত বল ছুড়ে উইকেট ভাঙার চেষ্টা করেন। ভিকি ক্রিজ়ের কয়েক হাত বাইরে থাকলেও বল এ বারও উইকেট লাগেনি। ফলে দ্বিতীয় বার বেঁচে যান তিনি। ব্যাটার এবং ফিল্ডারদের ভুল বোঝাবুঝি এবং একের পর এক সুযোগ নষ্টের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
এই ভুলের মাসুল দিতে হয়েছে কোলাপুরকে। তাদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে রায়গড়। ভিকি শেষ পর্যন্ত করেন ৫৪ বলে ৭৪ রান। ম্যাচ জিতে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গিয়েছে তারা। সেই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ পুণেরি বাপ্পা।