Advertisement
০১ মে ২০২৪
Bengal cricketers

তিন ফরম্যাটেই মুকেশ, টেস্টে আকাশ, রঞ্জি ভরাডুবির মাঝেও লক্ষ্মীর কোচিংয়ে ভারতের ভরসা বাংলা

মুকেশের সিমের উপর দখল অনেকটাই শামির মতো। ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন আকাশ দীপও। গত দু’বছরে বাংলার এই ক্রিকেটারেরা নির্বাচকদের নজর কেড়ে নিয়েছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের পরিশ্রম।

Laxmi Ratan Shukla

টেস্ট দলে ডাক পাওয়া আকাশ দীপের সঙ্গে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৩
Share: Save:

ভারতীয় দলের হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেটেই খেলে ফেলেছেন মুকেশ কুমার। প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা তাঁর তুলনা করছেন মহম্মদ শামির সঙ্গে। বলা হচ্ছে মুকেশের সিমের উপর দখল অনেকটাই শামির মতো। ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন আকাশ দীপও। নজরে রয়েছেন শাহবাজ় আহমেদ এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণের মতো ক্রিকেটারেরাও। গত দু’বছরে বাংলার এই ক্রিকেটারেরা নির্বাচকদের নজর কেড়ে নিয়েছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের পরিশ্রম।

মুকেশ, আকাশেরা গত কয়েক মরসুম ধরেই বাংলার ভরসা। ২০২৩ সালের রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার পেস আক্রমণকে দেশের সেরা বলা হচ্ছিল। সেই আক্রমণের দায়িত্ব ছিল মুকেশদের উপর। আকাশ ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৪১টি উইকেট। পাঁচটি ম্যাচ খেলে মুকেশ নিয়েছিলেন ২২টি উইকেট। তাঁদের দাপটে যে কোনও রাজ্যের ব্যাটারদের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। খেলোয়াড় জীবনে অধিনায়ক লক্ষ্মী বলতেন, “আওয়াজ করকে খেলো।” কোচ লক্ষ্মীও চান তাঁর ক্রিকেটারেরা বিপক্ষের ঘাড়ে চেপে বসুক। সেই কাজটাই করতেন মুকেশ, আকাশেরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় দলে চার পেসারের মধ্যে দু’জন বাংলা থেকে। মুকেশের সঙ্গে আকাশেরও ভারতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে ঢুকে পড়ার কারণ অবশ্যই ভারতীয় এ দলের হয়ে সাফল্য। সুযোগ পেয়ে আকাশ ধন্যবাদ জানান লক্ষ্মীকে। আকাশ বলেন, “টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার খবরটা আমাকে দিয়েছিলেন লক্ষ্মী স্যর। সকলে হাততালি দিচ্ছিল। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি কী হয়েছে। পরে বুঝতে পারি টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি।”

লক্ষ্মী বাংলা দলের দায়িত্ব নেন ২০২২ সালে। তার আগে বাংলার কোচ ছিলেন অরুণ লাল। দু’জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন সহকারী সৌরাশিস লাহিড়ী। লক্ষ্মী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে শুরু করেন শাহবাজ়েরা। লক্ষ্মী এবং সৌরাশিসের হাত ধরে বাংলার ক্রিকেটারেরা আরও ক্ষুরধার হয়েছেন। তবে মুকেশেরা ভারতীয় দলের হয়ে সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় বাংলা দলের শক্তি কিছুটা কমে গিয়েছে।

২০২২ সালের অক্টোবরে শাহবাজ় ভারতের হয়ে প্রথম বার খেলেছিলেন। মুকেশ সুযোগ পান ২০২৩ সালে। সব ধরনের ক্রিকেটেই খেলে ফেলেছেন তিনি। আকাশের এখনও অভিষেক হয়নি। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০ ম্যাচে ১০৪টি উইকেট নেওয়া পেসার যে একেবারেই সুযোগ পাবেন না তা বলা যায় না। নজরে রয়েছেন শাহবাজ় এবং অভিমন্যুও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE