ইডেন গার্ডেন্স। —ফাইল চিত্র।
যে কোনও রাজ্যের সিনিয়র দলের কাছে তার বয়সভিত্তিক দলগুলি কাজ করে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার সাপ্লাই লাইন হিসাবে। কিন্তু বাংলার সেই সাপ্লাই লাইনেই কি ফুটো হয়ে গিয়েছে? রঞ্জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিনিয়র দল ছিটকে গিয়েছে। খারাপ অবস্থা অনূর্ধ্ব-২৩ দলেরও। একের পর ম্যাচ হারছে তারা। সেই অবস্থার উন্নতি করতে কি আগামী দিনে লক্ষ্মীরতন শুক্লকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে?
বাংলার অন্যতম চিন্তার বিষয় বয়সভিত্তিক খেলা। বাংলার অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দল খুব একটা শক্তিশালী নয়। এ বারের বিশ্বকাপ খেলা ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বাংলার এক জন ক্রিকেটারও ছিলেন না। আগে শ্রীবৎস গোস্বামী, ঈশান পোড়েল, রবি কুমার, অভিষেক পোড়েলদের মতো নাম ছিল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলে। অভিষেক ছিলেন রিজার্ভ দলে। বাকিরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন এবং দলকে জিতিয়েছেন।
জুনিয়র স্তর, যেটাকে যে কোনও দলের সাপ্লাই লাইন বলা হয়, বাংলার ক্ষেত্রে সেটা খুবই খারাপ। এর জন্য বাংলার ক্রিকেট মহল দায়ী করছে এক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। তিনি দেবাং গান্ধী। বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, দেবাং তাঁদের সঙ্গে ঠিক কাজ করেননি। দেবাং ছিলেন বাংলার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। কিন্তু মরসুম শুরুর কয়েক দিন আগে হঠাৎ সেই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। দিল্লির রঞ্জি দলের কোচ হন তিনি।
বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ প্রণব রায়। তাঁর প্রশিক্ষণে সোমবারই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বাংলা দল হেরেছে ১৭৫ রানে। দুই ইনিংসেই ১০০ রানের গণ্ডি পার করতে ব্যর্থ অনূর্ধ্ব-২৩ বাংলা দল। সিকে নাইডু ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। লক্ষ্মী নিজে কিছু বলতে না চাইলেও একটি সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেল, আগামী দিনে বাংলার বয়সভিত্তিক দলগুলির পরামর্শদাতা হিসাবে দেখা যেতে পারে তাঁকে। এক সময় বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ ছিলেন লক্ষ্মী। তাঁর সময়ে সেই দলে খেলা বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার এখন বাংলা দলের সদস্য। সাপ্লাই লাইনকে তাই সচল করতে আবার লক্ষ্মীর দ্বারস্থ হতে পারে বাংলা। রাজনীতি ছেড়ে বাংলার ক্রিকেটে ফিরে আসা লক্ষ্মী সিনিয়র দলের দায়িত্ব সামলে সাপ্লাই লাইনকে সচল করার কাজের ভার নেন কি না সে দিকেও নজর থাকবে বাংলার ক্রিকেট সমর্থকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy