চলতি এশিয়া কাপে ভারতের কাছে দু’বার হেরেছে পাকিস্তান। প্রথমে গ্রুপ পর্বে, তার পর সুপার ফোরে। এশিয়া কাপ ফাইনালেও দুই দেশের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা। পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজ়াদা ফারহান চাইছেন, ফাইনালে আরও এক বার ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে। যদিও প্রকাশ্যে ভারতের নাম নেননি তিনি।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। তার আগে ফারহান বলেছেন, “আমার মতে, যে ভাবে আমরা খেলেছি এবং যে ভাবে আমাদের ব্যাটারেরা খেলেছে, তাতে ছেলেদের সকলে আত্মবিশ্বাসী। পিচটা খুব ভাল ছিল। বল ভাল ভাবে ব্যাটে আসছিল। যে হেতু পরেরটা মরণ-বাঁচন ম্যাচ তাই আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে নামব।”
ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছিলেন ফারহান। অর্ধশতরান করেছিলেন। পাকিস্তানকে ফাইনালে উঠতে গেলে সুপার ফোরের বাকি দু’টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশকে হারাতে হবে। পাকিস্তানের ওপেনারের মতে, তাঁদের সেই ক্ষমতা আছে।
ফারহান বলেছেন, “আগের ম্যাচগুলোয় আমরা পাওয়ার প্লে ঠিক করে ব্যবহার করতে পারিনি। শুরুতেই কয়েকটা উইকেট হারিয়ে ফেলছিলাম। এতে পরের দিকের ব্যাটারেরা চাপে পড়ছিল। ভারতের বিরুদ্ধে ফখর জ়মান বাদে কেউ আউট হয়নি। শুরুটাও ভাল হয়েছিল। প্রথম ১০ ওভারে ৯০ রান ওঠা খারাপ নয়। মাঝের দিকে একটু ধস নেমেছিল ঠিকই। আশা করি দ্রুত সেটা শুধরে ফেলতে পারব।”
আরও পড়ুন:
রবিবার পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ফারহান। হার্দিক পাণ্ড্য, জসপ্রীত বুমরাহদের উপর দাপট দেখিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। দশম ওভারে অক্ষর পটেলের একটি বল মিড উইকেটের উপর শট খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পরেই ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পাকিস্তান। তার আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে যান ফারহান। সেখানে তাঁকে ‘একে৪৭’ উল্লাস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে ফারহান বলেন, “ওটা ওই মুহূর্তেই মাথায় এসেছিল। আমি অর্ধশতরানের পর খুব একটা উল্লাস করি না। কিন্তু হঠাৎ মনে হল, এই ম্যাচে করব। তাই উল্লাস করেছি। আমি জানি না, কে কী ভাবে তাকে নিয়েছে। আমার তাতে কিছু যায়-আসে না।”