আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ভারতে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং তার পর ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সংঘাত পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। উপহাদেশের রাজনৈতিক উত্তাপে অনিশ্চিত এশিয়া কাপ। প্রতিযোগিতা হলেও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে রয়েছে সংশয়। জল্পনা বাড়িয়েছে, সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা প্রতিযোগিতার সম্প্রচারকারী সংস্থার একটি পোস্টার।
সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন চ্যানেলটি সমাজমাধ্যমে এশিয়া কাপের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তাদের একটি পোস্ট ক্ষোভ তৈরি করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রচারকারী সংস্থার পোস্টারে ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার অধিনায়কদের দেখা যাচ্ছে। তবে পাকিস্তানের অধিনায়কের জায়গা হয়নি। তা হলে কি পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে? শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এশিয়া কাপ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রতিযোগিতা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এখন এসিসির সভাপতি। তাঁকে এড়িয়ে কী ভাবে প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা হয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ার কথা এশিয়া কাপ। টেস্ট খেলিয়ে দেশ হিসাবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের খেলার কথা ছিল। এ ছাড়াও হংকং, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও ছিল প্রতিযোগী দেশ হিসাবে। আট দলের প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা থাকলেও সম্প্রচারকারী চ্যানেলের পোস্টারে শুধু তিনটি দেশের অধিনায়ককে দেখা যাচ্ছে। তা হলে কি এশিয়া কাপের পরিবর্তে ত্রিদেশীয় সিরিজ় আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে ভারত? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কোনও ঘোষণা করেনি। কর্তাদের কেউ কোনও রকম ইঙ্গিতও দেননি। তাই পোস্ট ঘিরে বিস্ময় তৈরি হয়েছে।
পোস্টারে ভারতের অধিনায়ক হিসাবে রয়েছে সূর্যকুমার যাদবের ছবি। সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কার চরিথ আশালঙ্কা এবং বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্তের ছবি। যদিও শান্ত এখন আর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নন। গত মে মাসের শুরুতেই শান্তকে সরিয়ে লিটন দাসকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অন্য দিকে, ‘পাকিস্তান অবজার্ভার’ নামে একটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর। প্রতিযোগিতা হবে আমিরশাহিতে।
আরও পড়ুন:
আগামী এশিয়া কাপ ঘিরে নানা জল্পনা চললেও সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। এসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এশিয়া কাপ নিয়ে বিসিসিআই এবং পিসিবি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সমাধান সূত্রে পৌঁছোনো গেলে জানানো হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও দেশই অন্য দেশে গিয়ে খেলতে রাজি নয়।