পহেলগাঁওকাণ্ড এবং অপারেশন সিন্দুরের পর থেকে ক্রিকেট মাঠে ভারত এবং পাকিস্তান মুখোমুখি হলেও দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলান না। সেই জিনিস দেখা যেতে পারে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপেও। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে পাকিস্তানের বোর্ডপ্রধান মহসিন নকভি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত যদি হাত মেলাতে না চায় তা হলে পাকিস্তানও তাই করবে।
অপারেশন সিঁদুরের পর এশিয়া কাপে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। কোনও বারই দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাননি। এর পর উঠতিদের এশিয়া কাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দু’টি ম্যাচেও একই জিনিস দেখা গিয়েছে। নকভি জানিয়েছেন, ভারতের চাপের কাছে কোনও ভাবেই ‘নতিস্বীকার’ করবে না পাকিস্তান।
রবিবার লাহোরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে নকভি বলেছেন, “যদি ভারত হাত মেলাতে না চায় তা হলে আমাদেরও সে রকম কোনও ইচ্ছা নেই। যা-ই হোক না কেন, ভারত যা করবে তার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। আপনারা দেখতে পাবেন, ভবিষ্যতেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একই থাকবে। ওরা একই কাজ বার বার করে যাবে আর আমরা পিছু হটব, এটা কোনও ভাবেই হতে পারে না। এটা অসম্ভব।”
নকভি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে তাঁরা ক্রিকেট এবং রাজনীতিকে আলাদা রাখতে চেয়েছিলেন। ভারতই সেটা হতে দেয়নি। নকভির কথায়, “আগেও যা বলেছি আজও তাই বলছি। আমাদের ভাবনাচিন্তা একই রকম রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে দু’বার বলেছেন যে, ক্রিকেট এবং রাজনীতি আমরা যেন মিশিয়ে না ফেলি। প্রথম দিন থেকে আমরা বলে আসছি, ক্রিকেট এবং রাজনীতি আলাদা রাখা উচিত। সে দিন সরফরাজ় (আহমেদ) আপনাদের বলেছিল যে আমাদের প্রতি কী ধরনের আচরণ করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে দুই দল। এর বিরোধিতা করে পাকিস্তান দলের মেন্টর সরফরাজ় বলেছিলেন, ‘‘ম্যাচে ভারতীয়দের আচরণ ভাল ছিল না। ক্রিকেটীয় দিক দিয়েও ওদের আচরণ অনৈতিক।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘ফাইনালের পর আমরা খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা বজায় রেখে উৎসব করেছি। আমি মনে করি, ক্রিকেটে স্বাভাবিক সৌজন্য বজায় থাকা উচিত। মাঠে সকলের মধ্যে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব থাকা উচিত। কিন্তু ভারতীয় দল তা করেনি। ওরা ওদের মতো ছিল।’’