চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পতাকা-বিতর্কে পড়েছে পাকিস্তান। লাহোর, করাচির স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখতে না পাওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্কের উত্তর দিল পাকিস্তান। তবে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটাও ভিত্তিহীন। নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
ভারতের পতাকা না থাকার প্রসঙ্গে পাক বোর্ডের একটি সূত্র ‘ইন্ডিয়া টুডে’ ওয়েবসাইটে বলেছেন, “আইসিসির নির্দেশ অনুযায়ী ম্যাচের দিন চারটি পতাকা টাঙানো যাবে। আয়োজক পাকিস্তান, উদ্যোক্তা আইসিসি এবং যে দু’টি দেশ খেলছে তাদের।”
তবে এই কথার সঙ্গে মিলছে না ভিডিয়ো। যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে ভারত ছাড়া সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশেরই পতাকা দেখা গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ডের পতাকা রয়েছে সেখানে। যদি এতগুলি দেশের পতাকা থাকতে পারে তা হলে ভারত কেন নয়?
যদি ওই সূত্রের দ্বিতীয় দাবি মেনে নেওয়া হয়, তা হলে করাচি স্টেডিয়ামে আইসিসি, নিউ জ়িল্যান্ডের পাশাপাশি শুধু পাকিস্তানের পতাকা টাঙানোর কথা। যে হেতু এই দু’টি দেশই প্রথম ম্যাচে নামবে। কিন্তু ভাইরাল ভিডিয়ো জ়ুম করার পরে সেখানে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের পতাকা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। তাই পাক বোর্ডের সূত্রের ব্যাখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তিনটি স্টেডিয়ামে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ। লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিণ্ডি। প্রথা অনুযায়ী, যে যে মাঠে খেলা হবে, সেখানে অংশগ্রহণকারী সব দেশের পতাকা থাকে। পাশাপাশি আইসিসির পতাকাও থাকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আটটি দেশ খেলে। সুতরাং, পাকিস্তানের তিনটি মাঠেই আটটি দেশের পতাকা থাকার কথা। ২০২৩ সালে ভারতে যখন এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল, তখনও তা দেখা গিয়েছিল। ইডেন-সহ ভারতের প্রতিটি মাঠে সব দেশের জাতীয় পতাকা ছিল। সেটাই প্রথা। ভিডিয়োয় যা দেখা যাচ্ছে তা যদি সত্যি হয় তা হলে বলতে হয়, সেই প্রথা মানেনি পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার পরেই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান অনেক চেষ্টা করেও ভারতকে রাজি করাতে পারেনি। ভারত প্রথমে দাবি করে, পাকিস্তান থেকে পুরো প্রতিযোগিতা সরিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই দাবি অবশ্য মানা হয়নি। তবে ভারতের চাপে আইসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দেয়, হাইব্রিড মডেল ছাড়া কোনও উপায় নেই। ২০২৩ সালে এই হাইব্রিড মডেলেই হয়েছিল এশিয়া কাপ। পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাতে হয়েছিল খেলা। ভারত তাদের সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় খেলেছিল। বাধ্য হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আইসিসিকে পাল্টা শর্ত দিয়ে জানায়, হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে তাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এর পর ভারতে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা হলে তারাও নিরপেক্ষ দেশে খেলবে। সেই দাবিও মেনে নিয়েছে আইসিসি।