পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় এখন ১-১। রবিবার ধর্মশালায় তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ়ে এগিয়ে যেতে চাইবে দু’দলই। মুল্লানপুরে হারার পর গৌতম গম্ভীর প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন করতে পারেন। আলাদা নজর থাকবে ফর্মে না থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং সহ-অধিনায়ক শুভমন গিলের দিকে।
ভারতীয় শিবির সূত্রে খবর, আগের ম্যাচে ন’টি ওয়াইড করা অর্শদীপের সিংহের উপর বিরক্ত ভারতীয় দলের কোচ। ধর্মশালার ২২ গজে ভারতের জোরে বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব থাকতে পারে জশপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পাণ্ড্য এবং হর্ষিত রানার উপর। সঙ্গে থাকবেন শিবম দুবেও। বাদ পড়তে পারেন অর্শদীপ। এ ছাড়া প্রথম একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রায় নেই। ভারতের ইনিংস শুরু করবেন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন। তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে সূর্যকুমারকে। শুভমন এবং সূর্যকুমারের দিকে আলাদা নজর থাকবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়কের ফর্মে না থাকা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন তিলক বর্মা। পাঁচ নম্বরে দেখা যেতে পারে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মাকে। ছ’নম্বরে ব্যাট করতে পারেন হার্দিক। সাত নম্বরে আসবেন শিবম দুবে। আট নম্বরে ব্যাট হাতে দেখা যেতে পারে অক্ষর পটেলকে। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ তিনটি জায়গা বিশেষজ্ঞ বোলারদের। পর পর আসবেন হর্ষিত, বরুণ চক্রবর্তী এবং বুমরাহ।
ধর্মশালার ২২ গজ সাধারণত জোরে বোলারদের সাহায্য করে। সন্ধ্যায় শিশিরের সমস্যাও থাকবে। টসজয়ী দল প্রথমে ব্যাট করে নিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে টস। যদিও ২০ ওভারের ক্রিকেটে জিততে পারে যে কোনও দল। এডেন মার্করামের হাতে একাধিক ভাল জোরে বোলার রয়েছেন। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ভারতীয় ব্যাটারদের।
নজর থাকবে অভিষেকের দিকেও। বিরাট কোহলির আট বছর আগের একটি রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন তিনি। সে জন্য অভিষেকের প্রয়োজন ৮৮ রান। এক ক্যালেন্ডার বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করার নজির রয়েছে কোহলির। ২০১৬ সালে ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোহলি ১৬১৪ রান করেছিলেন। চলতি বছরে অভিষেক এখনও পর্যন্ত ১৫৩৩ রান করেছেন ৩৯টি ম্যাচ খেলে। আর ৮৮ রান করলে কোহলির ওই রেকর্ড ভেঙে দেবেন অভিষেক।