রাজস্থানের জয়পুরে সোমবার মরুঝড় আসেনি বটে। তবে বৈভব-ঝড় এল প্রবল ভাবে। আর সেই ঝড়ে উড়ে গেল গুজরাত টাইটান্স। চলতি আইপিএলে এত খারাপ ভাবে এর আগে হারেনি তারা। আর এই হারের নেপথ্যে একটিই নাম— বৈভব সূর্যবংশী। ১৪ বছরের কোটিপতি ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে আইপিএলের অন্যতম সেরা ইনিংসটি দেখা গেল।
এই ইনিংসের ফলে অনেক নজির গড়ল বৈভব। অল্পের জন্য রক্ষা পেল ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেলের নজির।
১) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে শতরান করল বৈভব। ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে শতরান করেছে সে। আগের রেকর্ড ছিল বিজয় জোলের। ২০১৩ সালে মহারাষ্ট্রের ব্যাটার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন ১৮ বছর ১১৮ দিন বয়সে। ২০২০ সালে বরিশালের ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন ১৮ বছর ১৭৯ দিন বয়সে রাজশাহীর বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন।
২) সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএলে শতরান করেছে বৈভব। ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে। আগের রেকর্ড ছিল মণীশ পাণ্ডের। ২০০৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটার ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে শতরান করেছিলেন ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে। তৃতীয় স্থানে ঋষভ পন্থ। ২০১৭ সালে তৎকালীন দিল্লির ক্রিকেটার ২০ বছর ২৮৯ দিন বয়সে শতরান করেছিলেন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।
৩) সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএলে অর্ধশতরান করল বৈভব। আগের রেকর্ড ছিল রাজস্থানেরই রিয়ান পরাগের। ২০১৯ সালে দিল্লির বিরুদ্ধে ১৭ বছর ১৭৫ দিন বয়সে অর্ধশতরান করেছিলেন রিয়ান। তৃতীয় স্থানে রাজস্থানের সঞ্জু স্যামসন। তিনি ২০১৩-য় ১৮ বছর ১৬৯ দিন বয়সে অর্ধশতরান করেছিলেন বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে।
৪) আইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান বৈভবের। সবার আগে রয়েছেন গেল। তিনি ২০১৩-য় অধুনালুপ্ত পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ৩০ বলে শতরান করেছিলেন। তার পরেই রয়েছে ৩৫ বলে বৈভবের শতরান। তৃতীয় স্থানে ইউসুফ পাঠান। ২০১০ সালে রাজস্থানের হয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন। ২০১৩-য় পঞ্জাবের হয়ে ডেভিড মিলার ৩৮ বলে শতরান করেছিলেন বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
৫) দ্রুততম ভারতীয় হিসাবে আইপিএলে শতরান করল বৈভব। ৩৫ বলে শতরান করেছে সোমবার। এর আগে ৩৭ বলে শতরানের নজির রয়েছে ইউসুফ পাঠানের। এ বছরই ৩৯ বলে শতরান করেছেন প্রিয়াংশ আর্য।
৬) ১৮ বছর হওয়ার আগে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার নজির গড়েছে বৈভব। ইতিমধ্যেই ১৬টি ছয় হয়ে গিয়েছে তার। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যৌথ ভাবে রয়েছেন অভিষেক শর্মা এবং রিয়ান পরাগ। দু’জনেই পাঁচটি করে ছয় মেরেছেন। সরফরাজ খান এবং আয়ুষ মাত্রে দু’টি করে ছয় মেরেছেন। যে হেতু বৈভবের ১৮ হতে এখনও চার বছর বাকি, তাই ছয়ের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ার সম্ভাবনা।