বাংলার পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দিলেন আকাশ দীপ। বোলারদের দাপটে ঘরের মাঠে জয়ের প্রায় কাছে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। —ফাইল চিত্র
সেই বোলারদের দাপটেই রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা প্রায় পাকা করে ফেলল বাংলা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও আকাশ দীপ, শাহবাজ় আহমেদদের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না ঝাড়খণ্ডের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের। বাংলার থেকে মাত্র ৭ রানে এগিয়ে তারা। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিনের শুরুতেই জেতার লক্ষ্যে নামবেন মনোজ তিওয়ারিরা।
প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানের লিড নিয়েছিল বাংলা। পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে একের পর এক উইকেট পড়ল ঝাড়খণ্ডের। ইডেন গার্ডেন্সের চেনা উইকেটে ভাল বল করলেন বাংলার বোলাররা। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র আর্যমান সেন ছাড়া আর কেউ রান পেলেন না। শুরুতে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটিংকে ধসিয়ে দিলেন আকাশ দীপ ও আকাশ ঘটক।
মাঝে আর্যমানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অনুকুল রায়। কিন্তু সেই জুটি ভাঙতেই সব প্রতিরোধ শেষ হয়ে গেল। অনুকুল ৪০ রান করে আউট হলেন। একমাত্র অর্ধশতরান করলেন আর্যমান। দিনের শেষ দিকে ৬৪ রানের মাথায় তাঁকে আউট করেন ঈশান পোড়েল।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ঝাড়খণ্ডের রান ৭ উইকেটে ১৭২। বাংলার থেকে মাত্র ৭ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা। খেলার এখনও দু’দিন বাকি। কিন্তু যা অবস্থা তাতে চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই খেলা জিততে চাইছে বাংলা।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ ঘরামির ব্যাটে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট ২৩৮ রান করেছিল বাংলা। ৬৫ রানের লিড ছিল। ক্রিজে ছিলেন শাহবাজ় ও অভিষেক পোড়েল। তৃতীয় দিন খুব বেশি রান করতে পারেননি অভিষেক। ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। নীচের দিকের ব্যাটাররা রান পাননি। একাই খেললেন শাহবাজ়। নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে ৩০০ পার করালেন। অর্ধশতরান করলেন তিনি।
অন্য দিকে উইকেট পড়তে থাকায় শেষ দিকে চালিয়ে খেলতেই হত শাহবাজ়কে। সেটাই করছিলেন তিনি। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ৮১ রানের মাথায় আউট হলেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে সব থেকে বেশি রান করলেন তিনি। শাহবাজ় আউট হতেই ৩২৮ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy