Advertisement
০২ মে ২০২৪
Ranji Trophy 2022-23

ধোনির রাজ্যের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জয়, আরও এক বার রঞ্জির সেমিফাইনালে মনোজ তিওয়ারির বাংলা

সেমিফাইনালে প্রথম দিন থেকেই দাপট দেখায় বাংলা। ইডেনের চেনা মাঠে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনোজ। পেস সহায়ক উইকেটে শুরু থেকেই ঝাড়খণ্ডকে চাপে ফেলে দেন আকাশ দীপরা।

Manoj Tiwary

শেষ রঞ্জিতে ট্রফির লড়াইয়ে নামতে আর একটা জয় চাই মনোজের। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪৮
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা। গত বার এখান থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। এ বার আর এখানে থামতে রাজি নন তাঁরা। ঝাড়খণ্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল বাংলা। শেষ রঞ্জিতে ট্রফির লড়াইয়ে নামতে আর একটা জয় চাই মনোজের।

সেমিফাইনালে প্রথম দিন থেকেই দাপট দেখায় বাংলা। ইডেনের চেনা মাঠে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনোজ। পেস সহায়ক উইকেটে শুরু থেকেই ঝাড়খণ্ডকে চাপে ফেলে দেন আকাশ দীপরা। ঝাড়খণ্ড দলে সৌরভ তিওয়ারি না থাকায় সুবিধা হয় বাংলার। ম্যাচের দিন সকালে চোট পান সৌরভ। তাঁকে বাদ দিয়েই দল নামাতে বাধ্য হন অধিনায়ক বিরাট সিংহ। কিন্তু বাংলা দল পেয়ে যান মুকেশ কুমার, শাহবাজ় আহমেদকে। তাঁরা ফিরে আসতে বাংলার শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। যা বোঝা যাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের উপর তাদের ছড়ি ঘোরানো দেখে।

সেমিফাইনালটা ইডেনে খেলতে চাননি মনোজরা। ওড়িশার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইডেনে হেরে গিয়েছিল বাংলা। পিচ বিতর্কে সেই ম্যাচ প্রথম থেকেই বাংলার ক্রিকেটারদের মনোবল ভেঙে দিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল ম্যাচে। সেমিতে যদিও অন্য বাংলাকে দেখা গেল। ঝাড়খণ্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৭৩ রানে শেষ করে দিয়ে নিজেরা তুলল ৩২৮ রান। বল হাতে প্রথম ইনিংসে আকাশ নেন ৪ উইকেট। ওড়িশার বিরুদ্ধে চোট পাওয়ায় বল করতে পারেননি তিনি। ৩ উইকেট নেন মুকেশ। তাঁরাই শেষ করে দেন ঝাড়খণ্ডকে। বাংলার হয়ে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন (৭৭), সুদীপ ঘরামি (৬৮) এবং শাহবাজ় (৮১)। দ্বিতীয় ইনিংসে ঝাড়খণ্ড তোলে ২২১ রান। বাংলার সামনে মাত্র ৬৭ রানের লক্ষ্য দেয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাজ্য। এ বার ৩ উইকেট আকাশ ঘটকের। যে ম্যাচ জিততে খুব বেশি অসুবিধা হল না বাংলার।

এই জয়ের মাঝেও বাংলার কাঁটা হয়ে রইল সেই ওপেনিং জুটি। অভিমন্যুর সঙ্গী পাওয়া যাচ্ছে না। সেমিফাইনালে খেলানো হয়েছিল কাজী জুনেইদ সৈফিকে। যিনি বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে ছন্দে ছিলেন। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ১ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রান করেই আউট হয়ে যান তরুণ ব্যাটার। এর আগে গ্রুপ পর্বেও একাধিক জনকে ওপেনার হিসাবে খেলিয়ে চেষ্টা করেছিল কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। কিন্তু ওপেনার ধাঁধার উত্তর এখনও পেলেন না তিনি। সেমিফাইনালে যা নিয়ে চিন্তা থাকতে পারে লক্ষ্মী, মনোজদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE