রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে তৃতীয় দিনের শেষে গুজরাতের থেকে ২৮২ রানে এগিয়ে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের হাতে রয়েছে ৪ উইকেট। ইডেন গার্ডেন্সের ২২ গজে অপরাজিত রয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল।
রবিবার খেলার শেষ গুজরাতের প্রথম ইনিংসের রান ছিল ৭ উইকেটে ১০৭। সেখান থেকে দলের রান ১৬৭-তে পৌঁছে দেন অধিনায়ক মনন হিংরাজিয়া। ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি। তাঁকে আউট করতে পারলেন না মহম্মদ শামি, শাহবাজ় আহমেদেরা। আগের দিন ৪১ রানে অপরাজিত থাকা ব্যাটার দলের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত পিচে থেকে খেললেন ৮০ রানের ইনিংস।
গুজরাতের বাকি তিনটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন শামি এবং শাহবাজ়। কয়েক মাস পর ক্রিকেটে ফেরা অলরাউন্ডার তুলে নিলেন ৬ উইকেট। তাঁকে খেলতে পারেননি গুজরাতের ব্যাটারেরা। ১৯ ওভার বল করে খরচ করলেন ৩৪ রান। এই ম্যাচে শামিকে অনেকটাই চেনা মেজাজে দেখা গিয়েছে। তাঁর বিখ্যাত সুইং সমস্যায় ফেলেছে ব্যাটারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের আগে অজিত আগরকরদের ফর্মে ফেরার বার্তা দিচ্ছেন বাংলার জোরে বোলার। ৪৪ রানে ৩ উইকেট তাঁর।
প্রথম ইনিংসে ২৭৯ রান করায় ১১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলা। সুদীপ কুমার ঘরামি (৫৪) এবং ঈশ্বরণের (২৫) প্রথম উইকেটের জুটিতে ওঠে ৫৫ রান। নতুন বলের পালিশ তাঁরা তুলে দিলেও বাংলার অধিকাংশ ব্যাটার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। কাজ়ি সইফি (১), অভিষেক পোড়েল (১), সুমন্ত গুপ্তেরা (১১) দাঁড়াতে পারলেন না। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে রান পেলেন না শাহবাজ় (২০)। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ (অপরাজিত ৪৪) কারও সঙ্গে কার্যকরী জুটি তৈরি করতে পারলেন না। পারলে তৃতীয় দিনের শেষে আরও ভাল জায়গায় থাকতে পারত বাংলা। মঙ্গলবার ম্যাচের দিন সরাসরি জয়ের জন্য আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঝাঁপাতে পারতেন ঈশ্বরণেরা। বাংলার ব্যাটারদের সবচেয়ে ঝামেলায় ফেললেন সিদ্ধার্থ দেসাই। ৪৮ রানে ৪ উইকেট তাঁর। তবে সুদীপ এবং অভিষেককে পর পর সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলার ইনিংসকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন আরজ়ান নাগওয়াসওয়ালা (৫৮/২)।
আরও পড়ুন:
প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত বাংলার। ৬ পয়েন্ট ঘরে তুলতে হলে শেষ দিন দায়িত্ব নিতে হবে শামি, শাহবাজ়দেরই। গুজরাতকে জয়ের জন্য ৩২০-৩২৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ইনিংস ছেড়ে দিতে পারে বাংলা। মঙ্গলবার বাকি দায়িত্বটা বোলারদের। ইডেনে খেলা দেখতে এসেছেন জাতীয় নির্বাচক আরপি সিংহ। শামি তাঁর মাধ্যমে দৃঢ় বার্তা দিতে পারেন আগরকরকে। আকাশদীপ, ঈশান পোড়েল, সুরজেরাও বলকে কথা বলাতে পারলে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবেন ঈশ্বরণেরা।