বাংলাদেশের পর পাকিস্তান। দ্বিতীয় দেশ হিসাবে মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন ফতিমা সানারা। মঙ্গলবার কলম্বোয় বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাকিস্তান হারল ১৫০ রানে (ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে)।
মঙ্গলবারও বৃষ্টির জন্য দফায় দফায় বন্ধ রাখতে হয় খেলা। ফলে বারে বারে ওভার সংখ্যা কমাতে বাধ্য হন আম্পায়ারেরা। প্রথমে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। একাধিক বার পাকিস্তানের জয়ের লক্ষ্য পরিবর্তন হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি মেনে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ ওভারে ২৩৪। তাদের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ৮৩ রানে।
শুরুর দিকেই ওভার সংখ্যা কমে যাওয়ায় আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক লরা উলভার্ড ৮২ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন ১০টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে। তিন নম্বরে নামা সান লুস করেন ৫৯ বলে ৬১। ৮টি চার, ২টি ছক্কা মারেন তিনি। এ ছাড়া মারিজ়ানে কাপ ৬টি চার এবং ৩টি ছয়েক সাহায্যে ৪৩ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে নাদিন ডি ক্লার্ক করেন ১৬ বলে ৪১। তিনি ৩টি চার এবং ৪টি ছয় মারেন।
পাকিস্তানের কোনও বোলারই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিং থামাতে পারেননি। তার মধ্যেই ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাশরা সান্ধু। ৬৩ রানে ৩ উইকেট সাদিয়া ইকবালের।
জয়ের জন্য ৩১৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি তাদের জয়ের লক্ষ্যও কঠিনতম হয়ে যায়। মাত্র ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে এক রকম ছিটকে যান ফতিমারা। বলার মতো রান করেছেন শুধু নাকালিয়া পারভেজ (২৪ বলে ২০) এবং সিদারা নওয়াজ় (৩৩ বলে অপরাজিত ২২)। লড়াই করার মতো একটি জুটি তৈরি করতে পারেননি পাক ব্যাটারেরা।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সফলতম কাপ ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৯ রানে ২ উইকেট নন্ডুমিসো শানগাসের। ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন আয়াবঙ্গা খাকা।