আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। এ বার করলেন শতরান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছন্দে রিঙ্কু সিংহ। উত্তরপ্রদেশের হয়ে শতরান করেছেন তিনি। কেকেআরের আর এক ক্রিকেটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী খেলার মাঝে চোট পেয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। আরও একটি শতরান করে নজির গড়েছেন বিদর্ভের ধ্রুপ শোরে। আগের ম্যাচ জিতলেও বরোদার কাছে লজ্জার হার হয়েছে বাংলার।
ছন্দে রিঙ্কু
বিজয় হজারের প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৪৮ বলে ৬৭ রান করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের অধিনায়ক রিঙ্কু। ছ’টি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। ১৩৯.৫৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন কেকেআরের ব্যাটার। সেই ম্যাচে বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি রিঙ্কু। কিন্তু চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে সেই সুযোগ পেলেন। তাকে কাজেও লাগালেন রিঙ্কু। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করছিলেন তিনি। ৬০ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। আগের ম্যাচের থেকে বেশি স্ট্রাইক রেটে (১৭৬.৬৭) রান করেন তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করে ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান করেছে উত্তরপ্রদেশ।
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেয়েছেন রিঙ্কু। ফিনিশার হিসাবে ভাবা হচ্ছে তাঁকে। যা পরিস্থিতি, তাতে প্রথম একাদশেও জায়গা হতে পারে। ভারতীয় দলের অনেক দিন খেলেননি কেকেআরের ব্যাটার। ফলে বিশ্বকাপের আগে এই প্রস্তুতি দরকার ছিল রিঙ্কুর।
রঘুবংশীর চোট
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়েছেন মুম্বইয়ের অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। আইপিএলে কেকেআরের হয়ে খেলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাত্র ১১ রান করেন তিনি। পরে ফিল্ডিংয়ের সময় একটি কঠিন ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন রঘুবংশী। ডাইভ দেওয়ার পর কাঁধে লাগে তাঁর। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। রঘুবংশীকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে জয়পুরের একটি হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রঘুবংশীর চোট কেমন রয়েছে সে বিষয়ে অবশ্য মুম্বই এখনও কিছু জানায়নি।
ধ্রুবের নজির
ভারতের হয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে নজির গড়েছেন ধ্রুব শোরে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৭৭ বলে ১০৯ রান করেছেন বিদর্ভের ব্যাটার। ন’টি চার ও ছ’টি ছক্কা মারেন তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৬৫ রান করে বিদর্ভ। লিস্ট এ ক্রিকেটে নিজের অষ্টম শতরান করলেন ধ্রুব। তার মধ্যে শেষে পাঁচ ম্যাচে পাঁচটি শতরান করেছেন তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে টানা শতরানের নিরিখে নারায়ণ জগদীশনকে ছুঁয়েছেন তিনি। ২০২২-২৩ বিজয় হজারে ট্রফিতে জগদীশনও টানা পাঁচটি শতরান করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
বাংলার হার
বিজয় হজারের প্রথম ম্যাচে বিদর্ভের বিরুদ্ধে ৩৮৩ রান তাড়া করে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে লজ্জার হার হয়েছে বাংলার। রাজকোটের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৩ ওভারে ২০৫ রান অল আউট হয়ে যায় বাংলা। ব্যাটারদের মধ্যে অভিষেক পোড়েল ৩৮, অনুষ্টুপ মজুমদার ৪৭ ও কর্ণ লাল ৪০ রান করেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৫ রানে আউট হন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ায় জুটি গড়তে পারেনি বাংলা। বরোদার হয়ে রাজ লিম্বানি ৫ উইকেট নেন। অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয় বাংলাকে। ৩৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে রান তাড়া করে নেয় বরোদা। শাশ্বত রাওয়াত ৬১, প্রিয়াংশু মোলিয়া ৫২ ও ক্রুণাল ৫৭ রান করেন। ব্যাটে-বলে জয়ের নায়ক অধিনায়ক ক্রুণাল। মহম্মদ শামি ৯ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।