পন্থ দেহরাদূনে থাকার সময়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তাঁর বোন। ফাইল ছবি
দেহরাদূনের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঋষভ পন্থকে। বুধবার বিকেলেই বোর্ডের নির্দেশে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। তার আগে পন্থ দেহরাদূনে থাকার সময়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তাঁর বোন। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় একটি ঘটনা ঘটে, যাতে মেজাজ হারান তিনি।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
বুধবার দুপুরে দেহরাদূনের ম্যাক্স হাসপাতাল থেকে তখন স্ট্রেচারে করে বার করা হচ্ছিল পন্থকে। কিন্তু আশপাশে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। যে কারণে স্ট্রেচারটা ঠেলে এগিয়ে নিয়েই যাওয়া যাচ্ছিল না। সেই ভিড়ে প্রচুর সাংবাদিক ছিলেন ক্যামেরা হাতে। পন্থের ছবি তুলতে মরিয়া হয়েছিলেন তাঁরা। পন্থের দেহ একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকা সত্ত্বেও ছবি তোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এতেই মেজাজ হারান পন্থের বোন সাক্ষী। সাংবাদিকদের উদ্দেশে চেঁচিয়ে ওঠেন। সরিয়ে দেন সেই সাংবাদিককে।
Rishabh Pant Being Shifted To Mumbai For Further Treatment pic.twitter.com/DT2S34vmB6
— Vaibhav Bhola(@VibhuBhola) January 4, 2023
এর মধ্যেই বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, পন্থের চোটের ধরন যা, তাতে অন্তত চার মাস লাগবে সেরে উঠতে। মাঠে ফিরতে অন্তত দরকার ছ’মাস। ফলে শ্রীলঙ্কা, নিউ জ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় এবং আইপিএল কোনও ভাবেই খেলা হবে না পন্থের। জুন মাসে রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেখানে যদি ভারত খেলতে পারে, তা হলে ওই ম্যাচে পন্থকে মাঠে দেখা যেতে পারে। সেটাও নির্ভর করছে কতটা দ্রুত চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে তিনি সেরে ওঠেন তার উপরে।
বোর্ডের এক সূত্রের খবর অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে রবীন্দ্র জাডেজা লিগামেন্টে ঠিক যে ধরনের চোট পেয়েছিলেন, পন্থের চোটের ধরনও সে রকমই। তিনি বলেছেন, “প্রত্যেকের শারীরিক বৈশিষ্ট্য আলাদা। কিন্তু রিপোর্ট দেখে বোর্ডের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, পন্থের চোট অনেকাংশে জাডেজার মতোই। দেহরাদূন থেকে যা রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব পন্থের অস্ত্রোপচার দরকার। চার মাস লাগবেই ওর সেরে উঠতে।”
পন্থকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। বোর্ড চাইছিল তাদের ডাক্তাররাই সরাসরি পন্থকে দেখুন। সবার আগে পন্থের গোটা শরীরের এমআরআই করা হবে। বোর্ডের ওই সূত্র বলেছেন, “বোর্ড সচিব জয় শাহ সরাসরি পন্থের মায়ের সঙ্গে কথা বলে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাজি করান। ওঁকে বোঝান যে, সেটাই পন্থের জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার। পরিবার রাজি হতেই দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে পন্থকে আনার তোড়জোড় শুরু হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy