মুলতানে প্রথম টেস্টে ঘূর্ণিজালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টেও একই ফাঁদের ব্যবস্থা করেছিলেন শান মাসুদ-রা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে জড়িয়ে ১২০ রানে হারল পাকিস্তান। নেপথ্যে জোমেল ওয়ারিকানের পাঁচ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য মহম্মদ রিজ়ওয়ানদের ২৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। তৃতীয় দিনে ৭৬-৪ স্কোরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৩ রানেই শেষ পাকিস্তানের ইনিংস। দীর্ঘ ৩৪ বছর পরে পাকভূমে লাল বলের ক্রিকেটে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। যা নিয়ে অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েট বললেন, “তরুণ প্রজন্মের এই
কীর্তি অবিশ্বাস্য।”
শুধু মাঠে হার নয়, মাঠের বাইরেও অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় মাসুদকে। ম্যাচের পরে এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, “তিনি নিজেই দায়িত্ব ছাড়াবেন না কি পাক বোর্ড তাঁকে সরাবে?” যার পরে মেজাজ হারালেন মাসুদ।
পাক অধিনায়ক ঝাঁঝের সঙ্গে বলেন, “আপনি কোনও ক্রিকেটারকে অসম্মান করতে পারেন না। খেলায় হারজিৎ থাকেই, তবে কেউ এই রকম অসম্মান সহ্য করবে না।” আরও বলেন, “আপনাকে বুঝতে হবে দেশের হয়ে সবাই নিজের সেরাটা দেয়। ভুললে চলবে না, ঘরের মাটিতে আমরা শেষ চার টেস্টের মধ্যে তিনটিতে জিতেছি।”
সোমবার শুরুতেই দু’উইকেট হারানোর পরে মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং সলমন আঘার মধ্যে ৩৯ রানের জুটি হয়। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। তাঁদের দু’জনকেই ফেরান ওয়ারিকান। তার পরে হার ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। দু’টেস্টের সিরিজ়ে ১৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন বাঁ হাতি স্পিনার। সাজিদ খানের উইকেট নিয়েই বিখ্যাত ডব্লিউডব্লিউই তারকা জন সিনার মতো ভঙ্গিতে উৎসব করেন জোমেল। কারণ রবিবার সাজিদ এই ভঙ্গি করেছিলেন।
ঘরের মাঠে শুধু হার নয়, গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবলরে সব দলের নিচে শেষ করল পাকিস্তান।
ম্যাচের সেরা হওয়ার পরে ওয়ারিকান বলেন, “এই পিচে ধীর গতির বল করে সফল হয়েছি। প্রথম ইনিংসে ওদের কম রানে আটকে রাখার পরে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। একই জায়গায় ধারাবাহিক ভাবে বল ফেলে যাওয়া, গতির তারতম্য করাই হল সাফল্যের মূলমন্ত্র।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)