ইংল্যান্ড সিরিজ়ে অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক হচ্ছে শুভমন গিলের। তার আগে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির শিক্ষা নিয়ে নামছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। পাশাপাশি, জসপ্রীত বুমরাহের খেলা নিয়ে যাবতীয় সংশয়ের উত্তরও দিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই স্পোর্টস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভমন বলেছেন, “টেস্টে বিরাটের অধীনে খেলার সময় মাঠে বিরাটের সক্রিয়তা বার বার চোখে পড়ত। নিজের ভাবনা ভাগ করে নেওয়াই হোক বা ওর মাঠের আচরণ, আমার বেশ পছন্দ হত। ওটা আমিও কাজে লাগাতে চাই। যদি ওর কোনও পরিকল্পনা কাজে না লাগত, সঙ্গে সঙ্গে সেটা বদলে ফেলত এবং বোলারকে বলে দিত ও ঠিক কী চায়।”
কোহলির তুলনায় বেশ খানিকটা আলাদা ছিলেন রোহিত। অনেক শান্ত, ধীরস্থির। তবে সেটা শুধু আচরণে, কৌশলে নয়। শুভমনের কথায়, “অনেকেই ভাবে রোহিত আগ্রাসী ছিল না। কিন্তু কৌশলের দিক থেকে ও অত্যন্ত আগ্রাসী। ম্যাচের আগে, সিরিজ়ের মাঝে বা সিরিজ়ের পরে, সব সময় নিজের ভাবনা প্রকাশের ব্যাপারে অত্যন্ত স্বচ্ছ ছিল। সতীর্থদের থেকে কী চায় সেটা পরিষ্কার বলে দিত।”
শুভমনের সংযোজন, “রোহিত ভাই দলের পরিবেশটাই আলাদা রাখতে পারত। যদি আপনাকে বকাঝকাও করে, সেটা গায়ে লাগত না। এটাই ওর ব্যক্তিত্ব। এই ক্ষমতা থাকাও ভাগ্যের ব্যাপার। নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে শক্ত থাকত।”
ভারতীয় দল ভবিষ্যতে কোন দিকে এগোবে সে ব্যাপারেও রোহিতের থেকে পরামর্শ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শুভমন। তাঁর কথায়, “অন্তত দু’বার এ ব্যাপারে রোহিতের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ থেকে ৫,৭ বা ১০,১৫ বছর পরে ভারতীয় দলের কোথায় থাকা উচিত, সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
ইংল্যান্ড সিরিজ়ে বুমরাহ যে সব টেস্টে খেলবেন না তা আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। তবে কোন কোন টেস্টে খেলানো হবে তা আগে থেকে ঠিক করে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন শুভমন।
আরও পড়ুন:
ভারত অধিনায়কের কথায়, “কী ভাবে ম্যাচগুলো এগোচ্ছে তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। একটা ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একটা করে ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো ভাল। কতটা চাপ পড়ছে সেটা নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে।”
শুভমনের সংযোজন, “আমরা আগে থেকে ঠিক করে রাখতে চাই না যে এই এই ম্যাচে ও খেলবে। কারণ এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনার পক্ষে যাবে বা যাবে না। তখনই বোঝা যাবে বুমরাহকে পরের ম্যাচে খেলানো হবে কি না।”