চলতি মরসুমের শুরুটা ভাল করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর করেছিল তারা। যত মরসুম গড়িয়েছে তত খেই হারিয়েছে হায়দরাবাদ। প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে গত বারের রানার্স দল। যদিও শেষটা আবার ভাল করল হায়দরাবাদ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আইপিএলের তৃতীয় সর্বাধিক রান করল তারা। এই ম্যাচে আরও কিছু নজির গড়ল হায়দরাবাদ।
আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক রান
কেকেআরের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করেছে হায়দারাবাদ। আইপিএলে এটা তৃতীয় সর্বাধিক স্কোর। অবশ্য আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম চারটে বড় স্কোর হায়দরাবাদেরই। ২০২৪ সালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২৮৭ রান করেছিল তারা। এ বার রাজস্থানের বিরুদ্ধে ২৮৬ রান করেছে তারা। গত বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৭৭ রান করেছিল হায়দরাবাদ।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ২৫০-র বেশি রান
টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বার ২৫০ বা তার বেশি রান করেছে হায়দরাবাদ। তারাই একমাত্র দল যাদের এই কীর্তি রয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারত ও কাউন্টিতে সারে তিন বার ২৫০ রানের বেশি করেছে।
এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা
কলকাতার বিরুদ্ধে ১৯টা ছক্কা মেরেছে হায়দরাবাদ। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার তালিকায় এটা দ্বিতীয়। গত বার দিল্লি ও বেঙ্গালুরু এক ইনিংসে ২২টা করে ছক্কা মেরেছিল। এ বারের আইপিএলে অবশ্য এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারল হায়দরাবাদ।
আরও পড়ুন:
দ্রুততম শতরানের তালিকায় তৃতীয় ক্লাসেন
কলকাতার বিরুদ্ধে ৩৭ বলে শতরান করেছেন হাইনরিখ ক্লাসেন। এটা তৃতীয় দ্রুততম শতরান। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান করেছেন ক্রিস গেল। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৩০ বলে শতরান করেছিলেন তিনি। এ বারই গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে শতরান করেছেন রাজস্থান রয়্যালসের বৈভব সূর্যবংশী। ২০১০ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন রাজস্থানের ইউসুফ পাঠান। সেই নজির ছুঁয়েছেন ক্লাসেন।
টি-টোয়েন্টিতে তিন বা তার পরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় শতরান করলেন ক্লাসেন। এই রেকর্ড এবি ডি’ভিলিয়ার্স ও সঞ্জু স্যামসনের দখেল। তাঁরা দু’জনই তিনটে করে শতরান করেছেন। দুটো শতরান রয়েছে সূর্যকুমার যাদবেরও।