ম্যাচের পর হারার কারণ হিসেবে (বাঁ-দিকে) হাসানের ক্যাচ ফস্কানোকেই তুলে ধরেন বাবর। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানদের ছাপিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন হাসান আলি। আর এটিই সবথেকে বেশি চিন্তায় রেখেছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরকে।
বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। এই ম্যাচে মোক্ষম সময়ে ক্যাচ ফস্কান হাসান। তখনই তাঁকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত মনে হয়। এরপর পাকিস্তান হারতেই টুইটার, ফেসবুকে তাঁকে তুলোধনা করছেন পাকিস্তানী সমর্থকরা।
ম্যাচের পর হারার কারণ হিসেবে হাসানের ক্যাচ ফস্কানোকেই তুলে ধরেন বাবর। কিন্তু তারপরেও তিনি বলেন, মানসিক ভাবে হাসানকে চাঙ্গা করাই এখন তাঁর প্রথম ও প্রধান কাজ।
হাসান নিজের চার ওভারে ৪৪ রান দেন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে ১৫ রান দেন। পরের ওভারে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলেন। শাহিন আফ্রিদির বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন ওয়েড। কিন্তু হাসান ক্যাচ ফেলেন। তখন জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১০ বলে ২০ রান দরকার ছিল। পরের তিনটি বলে তিনটি ছক্কা মেরে ওয়েড অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তোলেন। তিনিই ম্যাচের সেরা হন।
হাসান ক্যাচ ফেলার পর দেখা যায়, দলের সিনিয়র ক্রিকেটার শোয়েব মালিক এসে তাঁর পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন, তাঁকে চাঙ্গা করছেন। দেখেই বোঝা যায়, হাসান ভেঙে পড়েছেন। বুঝতে পেরেছেন, ম্যাচ হারলে তাঁকে নিয়ে কী হবে। সেটাই হয়েছে। ফেসবুক, টুইটারে তাঁকে আক্রমণ শুর হয়।
বাবর বলেন, ‘‘ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দেওয়াটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তখন নতুন ব্যাটার নামলে পরিস্থিতি বদলে যেত। ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেই পারত। সবসময় সজাগ থাকতে হয়। যে সুযোগ আসুক না কেন, কাজে লাগাতে হয়।’’
এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘কেউ ক্যাচ ফস্কাতেই পারে। খেলায় এরকম হতেই পারে। হাসান আমাদের দলের অন্যতম সেরা বোলার। বহু ম্যাচে আমাদের জিতিয়েছে। আমি ওর সঙ্গে আছি। সবার রোজ ভাল যায় না। রোজ ভাল খেলা সম্ভবও নয়। ওর জন্যও দিনটা ভাল ছিল না। এখন সবার আগে ওকে চাঙ্গা করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy