উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস ভারতীয় দলের। ছবি: পিটিআই।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ এবং সিরিজ় জিতল ভারত। ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতে নিল ভারত। এই জয়ের কৃতিত্ব দিতেই হবে মুকেশ কুমার এবং আরশদীপ সিংহকে। ভারত রবিবার জিতল ৬ রানে।
ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৬০ রান তুলেছিল। বেঙ্গালুরুর মাঠে সেই রান যে খুব বেশি নয়, তা জানতেন সূর্যকুমার যাদবেরা। এই ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের উপর নির্ভর করতে হত। শেষ বেলায় তাঁরাই জেতালেন। মুকেশ এবং আরশদীপ মিলে ডেথ ওভারে যেমন রান আটকালেন, তেমনই উইকেট তুলে নিলেন।
টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার জানিয়েছিলেন যে, টস জিতলে তিনি আগে বল করতেন।ম্যাচের আগে বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বোলারদের সাহায্য পাওয়ার সুযোগ ছিল। দুই অধিনায়কের মাথাতেই সেটা ছিল। আগে বল করার সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগালেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা।
যশস্বী জয়সওয়াল (২১) এবং রুতুতাজ গায়কোয়াড় (১০) মিলে জুটিতে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রথমে যশস্বী তার পর রুতুরাজ আউট হন। তাঁরা অল্প রানে ফিরে যাওয়ায় বড় দায়িত্ব ছিল শ্রেয়স আয়ারের কাঁধে। সেটাই পালন করলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৩৭ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। কিন্তু শ্রেয়সের চাপ বৃদ্ধি করেছিলেন সূর্য (৫) এবং রিঙ্কু সিংহ।(৬)।
শ্রেয়সের সঙ্গে থেকে ভারতকে ১৬০ রানে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন জিতেশ শর্মা (২৪) এবং অক্ষর পটেল (৩১)। প্রথম শ্রেয়সের সঙ্গে জিতেশ ৪৭ রানের জুটি গড়েন। পরে অক্ষরের সঙ্গে শ্রেয়স যোগ করেন আরও ৪৬ রান। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর শ্রেয়সও আউট হয়ে যান। ফলে বেঙ্গালুরুতে ভারতের ইনিংস থেমে যায় ১৬০ রানে।
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য শুরুতেই উইকেট তুলতে হত। সেই কাজটা করেন মুকেশ। জস ফিলিপকে (৪) বোল্ড করেন তিনি। অন্য ওপেনার ট্রেভিস হেড তখন সংহার মূর্তি ধরতে শুরু করেছেন। আবেশ খানদের উপর চড়াও হচ্ছেন তিনি। এমন সময় রবি বিষ্ণোইকে নিয়ে আসেন সূর্য। তাতেই কাজ হয়। বিষ্ণোইয়ের বলে বোল্ড হন হেড।
ভারতীয় স্পিনারদের আরও একটি জুটি তৈরি হচ্ছে। বিষ্ণোই এবং অক্ষর পটেল মিলে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার কাজটা কঠিন করে দিয়েছিলেন। তাঁরা দু'জনে মিলে ৩ উইকেট নিলেন সেই সঙ্গে দিলেন মাত্র ৩৩ রান। তাঁদের কৃপণ বোলিং ভারতকে দারুণ সাহায্য করল।
এর পরেও ম্যাচ চলে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার দিকে। সেটার দায় এড়াতে পারবেন না আবেশ। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়েছেন তিনি। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে একের পর এক বাউন্ডারি দেন। যা আর একটু হলে ভারতকে হারিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু সামলে নেন মুকেশ এবং আরশদীপ।
বাংলার পেসার সময়ের সঙ্গে দলের বড় ভরসা হয়ে উঠছেন। তাঁর সঙ্গে বার বার মহম্মদ শামির তুলনা হচ্ছে। এই ম্যাচে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুকেশ। ১৭ এবং ১৯তম ওভারে তাঁর বোলিংয়ের জন্যই ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১০ রান। কিন্তু আরশদীপ ম্যাচে ৪ ওভারে ৪০ রান দিলেও সেই ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। তুলে নেন ম্যাথু ওয়েডের উইকেট। তাতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy