অক্ষর পটেলের বলে ক্যাচ ফস্কেছিলেন রোহিত শর্মা। সেটা ছিল হ্যাটট্রিকের সুযোগ। কিন্তু রোহিত সহজ ক্যাচ ফস্কানোর কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ হারান অক্ষর। ম্যাচ শেষে রোহিত জানান অক্ষরকে নৈশভোজে নিয়ে যাবেন।
রোহিত স্বীকার করেন ক্যাচটি সহজ ছিল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “সহজ ক্যাচ ছিল। আমার ক্যাচটা ধরা উচিত ছিল। তবে আমি এটাও জানি যে ম্যাচের মধ্যে কখনও কখনও এমন হয়ে যায়। আমি নিশ্চয়ই অক্ষরকে খাওয়াতে নিয়ে যাব।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে নবম ওভারে বল করতে এসেছিলেন অক্ষর। সেই ওভারেই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে তিনি তানজিদ হাসান এবং মুশফিকুর রহিমকে আউট করেন। দু’টি ক্ষেত্রেই ব্যাটে খোঁচা লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে। হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল অক্ষরের কাছে। কিন্তু চতুর্থ বলে ব্যাটার জাকের আলির ব্যাটে খোঁচা লেগে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো রোহিতের কাছে। সহজতম সুযোগ ছিল সেটি। বল সোজা রোহিতের হাতে আসছিল। কিন্তু রোহিত ক্যাচ ধরতে পারেননি। তাঁর হাত থেকে পড়ে যায় বল। রোহিত সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন কত বড় ভুল করে ফেলেছেন। মাটিতে চাপড় মারতে থাকেন তিনি হতাশায়। পরে উঠে দাঁড়িয়ে অক্ষরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চান। শূন্য রানে প্রাণ ফিরে পাওয়া জাকের ৬৮ রান করেন।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
রোহিত খুশি শুভমন গিলের ইনিংস দেখে। তিনি বলেন, “শুভমন কোন মাপের ক্রিকেটার আমরা জানি। ওর এই ইনিংস অবাক করে দেওয়ার মতো নয়। শুভমনকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে দেখে ভাল লাগল।” ১২৫ বলে শুভমনের করা শতরান যথেষ্ট মন্থর। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই ইনিংসটা প্রয়োজন ছিল। তিনি এক দিক ধরে রেখে রান না করলে ভারতীয় দল যথেষ্ট সমস্যায় পড়ত। তিনি শেষ পর্যন্ত ছিলেন বলে ভারত ২১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২২৮ রান করে। তোহিদ হৃদয় শতরান করেন। ৬৮ রান করেন জাকের আলি। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট নেন মহম্মদ শামি। বাংলাদেশের রান তাড়া করতে নেমে ভারত জিতল ৬ উইকেটে। শুভমন ছাড়াও রান পেয়েছেন রোহিত (৪১) এবং লোকেশ রাহুল (৪১ রানে অপরাজিত)।