E-Paper

এ বার নিয়মের ভুল সংশোধন করতে প্রস্তুত সিএবি-র কমিটি

বুধবার সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত কর্তারা এটাও মেনে নিতে বাধ্য হলেন যে, সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেট সংক্রান্ত নিয়মকানুনের বইতেই এত দিন ভুল লেখা ছিল। সেই ভুল নিয়েই এত বড় একটা সংস্থা চলছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৬

—প্রতীকী চিত্র।

স্থানীয় লিগের বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে নিজেদের গোঁ ছাড়তে বাধ্য হল সিএবি। বুধবার সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত কর্তারা এটাও মেনে নিতে বাধ্য হলেন যে, সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেট সংক্রান্ত নিয়মকানুনের বইতেই এত দিন ভুল লেখা ছিল। সেই ভুল নিয়েই এত বড় একটা সংস্থা চলছিল। পদাধিকারীরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন, কেউ খেয়ালই করেননি।

সিএবি-র নিয়মের বইয়ে এই ভুল প্রথম প্রকাশিত হয় আনন্দবাজারের খেলার পাতায়। কী সেই ভুল? দু’টি স্থানীয় ক্লাব টাউন ও বি এন আর ‘প্রোটেস্ট’ করে, বোর্ডের ‘নো অবজ়েকশন’ না নিয়েই বিপক্ষের খেলোয়াড় অন্য রাজ্য থেকে কলকাতায় ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সিএবি-র নিয়মের বইতে পরিষ্কার লেখা রয়েছে, বাইরের রাজ্য থেকে এখানে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে এলেও বোর্ডের অনুমতিপত্র লাগবে। ঘটনা হচ্ছে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট অর্থাৎ রঞ্জি ট্রফি জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলতে হলে তবেই এ ধরনের ‘নো অবজ়েকশন’ দরকার পড়ে। কোনও ক্রিকেটার এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের স্থানীয় ক্রিকেটে খেলতে গেলে বোর্ডের অনুমতিপত্র লাগে না। ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার অ্যাবে কুরুভিলা আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।

এর পরেও যে সিএবি-র শীর্ষ প্রশাসনের খুব টনক নড়েছিল, তা নয়। শীর্ষ কর্তাদের গাঁইগুঁই চলছিলই। অ্যাপেক্স কাউন্সিল তাদের প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, কুরুভিলাকে চিঠি লিখে জানতে চাওয়া হবে, নিয়মটা কী? সেই চিঠির উত্তরে কুরুভিলা জানিয়ে দেন, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলতে গেলে তবেই শুধু বোর্ডের চিঠি লাগে। অন্য রাজ্যের স্থানীয় ক্রিকেটে খেলতে গেলে এ রকম চিঠির দরকার হয় না। কুরুভিলা চিঠিতে পরিষ্কার লিখেছেন, ‘‘অন্য রাজ্যের ক্রিকেটারের কলকাতার ক্লাবে খেলার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে সিএবি-র হাতে। তারাই ঠিক করবে অন্য রাজ্যের ক্রিকেটার তাদের স্থানীয় লিগে খেলতে পারবে কি না।’’ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এর মধ্যে অন্য কারও কোনও ভুমিকা নেই। কলকাতার লিগে খেলতে পারবে কি না, সম্পূর্ণ ভাবে সিএবি-র বিষয়।

বুধবার সিএবি-র অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল, ভুল সংশোধন করা হবে। তার জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগ নিয়েও কমিটি তৈরি হয়েছে। তবে কমিটিতে এক কর্তার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারণ তিনি ইতিমধ্যেই অনুমোদিত ক্লাবের পদাধিকারী। সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, স্বার্থসংঘাত হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তবে কুরুভিলার পত্রাঘাতে বি এন আর বনাম কাস্টমস ম্যাচের ‘প্রোটেস্ট’ বৈধ থাকছে না। সেই ম্যাচে যা ফল হয়েছিল, সেটাই থাকবে। টাউন বনাম মহমেডানের ম্যাচে টাউনও একই ‘প্রোটেস্ট’ করেছিল। পাশাপাশি, মহমেডানের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে আউট হওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আম্পাারের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, অক্রিকেটীয় শট খেলে মহমেডানের ব্যাটসম্যানেরা আউট হয়েছেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন অম্বাডসম্যান।

এর মধ্যেই আর একটি ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এক আম্পায়ার অভিযোগ করেছেন, পোর্ট ট্রাস্ট ও ডালহৌসির ম্যাচে পোর্ট ট্রাস্টের অধিনায়ক তাঁকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। বন্ধনীর মধ্যে কী কী গালাগাল দেওয়া হয়েছে, তারও উল্লেখ করেছেন সেই আম্পায়ার। যা দেখে অনেকে স্তম্ভিত। এক জন আম্পায়ার সংস্থার কাছে সরকারি ভাবে লেখা চিঠিতে অশ্রাব্য গালাগালের উল্লেখ করছেন, এমন ঘটনা সম্ভবত নজিরবিহীন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cricket Association Of Bengal match fixing Cricket CAB

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy