টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে ব্যাঙ্ককে মুখোমুখি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কাতারের মহিলা দল। এই ম্যাচে ঘটল অভিনব ঘটনা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল আমিরশাহি দল। প্রথমে ব্যাট করে ১৬ ওভারের পর নিজেরাই নিজেদের ইনিংস শেষ করে দিল! তবু ১৬৩ রানে জিতল তারা। এই ম্যাচে সব মিলিয়ে ১৫ ব্যাটার আউট হলেন শূন্য রানে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আমিরশাহির অধিনায়ক এষা ওজ়া। তিনি এবং উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তীর্থা সতিশ ইনিংস শুরু করতে নামেন। দু’জনের জুটিতে ১৫.৫ ওভারে ওঠে ১৯২ রান। ১৬তম ওভারের শেষ বলে নিজেকে ‘রিটায়ার্ড আউট’ ঘোষণা করেন ওজ়া। সে সময় তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৫ বলে ১১৩ রান করে। ১৪টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। একই সঙ্গে ‘রিটায়ার্ড আউট’ হয়ে যান তীর্থাও। তিনি ১১টি চারের সাহায্যে ৪২ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এখানেই শেষ নয়। চমক আরও বাকি ছিল। আমিরশাহির আরও আট ক্রিকেটার পর পর নিজেদের ‘রিটায়ার্ড আউট’ ঘোষণা করেন। তাঁরা কেউই কোনও বল খেলেননি। অপরাজিত থাকেন শুধু ১১ নম্বর ব্যাটার কেজ়িহ মিরিয়াম সাবিন। তিনিও কোনও বল খেলেননি। ফলে ১৬ ওভারেই ১৯২ রানে শেষ হয়ে যায় আমিরশাহির ইনিংস। এক রকম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় আমিরশাহি দল। তাদের ১০ উইকেট পড়লেও কাতারের বোলারেরা একটি উইকেটও পাননি।
আরও পড়ুন:
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কাতার করে ২৯ রান। ১১.১ ওভারে অল আউট হয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রিজ়ফা বানো এমানুয়েল। তিনি ২৯ বলে ২০ করেন। এ ছাড়া অ্যাঞ্জেলিন মারে ৫ এবং শাহরিন বাহাদুর ২ রান করেন। কাতারের সাত জন্য ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আমিরশাহির সফলতম বোলার মিশেল বোথা ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট কেটি থমসনের। এষা এবং বৈষ্ণবী মহেশ ১ রানে ১ উইকেট করে নিয়েছেন। কোনও রান খরচ না করেই ১ উইকেট পেয়েছেন ইন্দুজা নন্দকুমার। এ ছাড়া ৯ রানে ১ উইকেট হিনা হোচন্দানির।