ঋষভ পন্থ (বাঁ দিকে) ও উর্বশী রওতেলার বিতর্ক এখনও চলছে। —ফাইল চিত্র
উর্বশী রওতেলা কি ঋষভ পন্থের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন? না কি চাননি? মঙ্গলবার একটি সাক্ষাৎকারে উর্বশীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পন্থকে কোনও বার্তা দিতে চান? জবাবে উর্বশী বলেছিলেন, ‘‘জানি না কী বলব...তবু বলতে চাই যে, আমি দুঃখিত। খুবই।’’ ২৪ ঘণ্টা পরেই উর্বশী জানালেন, পন্থের কাছে ক্ষমা চাননি তিনি। তাঁর কথা ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে।
বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে উর্বশী লেখেন, ‘আজকালকার দিনে সিনেমা বা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের তুলনায় খবর অনেক বেশি তৈরি করা হয়। আমার ভক্ত ও প্রিয় মানুষদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছিলাম। অন্য কারও কাছে চাইনি।’
পন্থ-উর্বশী বিতর্কের শুরু কয়েক মাস আগে। এক সাক্ষাৎকারে পন্থের নাম না করে কয়েক বছর আগের একটি ঘটনার কথা তুলে আনেন বলিউড অভিনেত্রী। উর্বশী জানান, আরপি নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য হোটেলের ঘরের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি তাঁর কথা ভুলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সেই ব্যক্তি মুম্বইয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। উর্বশী নাম না করলেও নেটমাধ্যমে ঋষভ পন্থকে সেই ব্যক্তি ভেবে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
চুপ করে থাকেননি পন্থ। ভারতীয় উইকেটরক্ষক ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন। যদিও পরে সেটি মুছে দেন। পন্থ লিখেছিলেন, ‘জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য মানুষ সাক্ষাৎকারে কত মিথ্যা কথা বলে। দেখে অবাক লাগে। নাম এবং খ্যাতির জন্য মানুষ কত তৃষ্ণার্ত। ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করুন। আমার পিছন ছেড়ে দাও বোন। মিথ্যা বলার একটা সীমা থাকে।’
পাল্টা দেন উর্বশী। কটাক্ষ করে পন্থকে বলেন, ‘ছোটু ভাইয়া! ব্যাট-বল খেলো।’ এখানেই থেমে থাকেনি বিষয়টি। নেটমাধ্যমে উর্বশীর নাম না করেই এই কটাক্ষের জবাব দেন পন্থ। একটি ‘দার্শনিক’ উক্তি ব্যবহার করেন। উক্তিটি হল, ‘যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, তা নিয়ে ভাববেন না।’
এই বিতর্কের মাঝেই পাকিস্তানের বোলার নাসিম শাহের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো নিয়ে আলোচনায় আসেন উর্বশী। পরে নাসিম বলেন, ‘‘কে উর্বশী, তা-ই তো আমি জানি না। আমি জানিও না লোকজন কেন এমন ভিডিয়ো বানাচ্ছে। আমি আপাতত ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করতে চাই।’’ উত্তরে উর্বশী নেটমাধ্যমে লেখেন,‘কিছু দিন আগে আমার দল ভক্তদের তৈরি কিছু ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে পোস্ট করে। সেখানে অন্য মানুষরাও ছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব এই নিয়ে কোনও রকম খবর না ছড়াতে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy