মহা নিলামে তাঁকে ২৩.৭৫ কোটি টাকায় কিনেছিল কেকেআর। তবে গত আইপিএলে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি বেঙ্কটেশ আয়ার। ১১ ইনিংসে মাত্র ১৪২ রান করেছিলেন। এতটাই খারাপ খেলেছিলেন যে কয়েকটা ম্যাচে তাঁকে বসিয়েও দিতে হয়েছিল। শোনা যাচ্ছে তাঁকে পরের মরসুমে হায়দরাবাদে বিক্রি করে দেওয়া হবে। সেই সম্ভাবনা নিয়ে উত্তর দিয়েছেন বেঙ্কটেশ নিজেই। জানিয়েছেন আইপিএলে নিজের কষ্টের মুহূর্তের কথাও।
‘স্পোর্টসকিডা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে বেঙ্কটেশ বলেন, “সত্যি বলতে আমার এটা নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। কেকেআর ম্যানেজমেন্টের তরফেও এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।”
তবে ২৪ কোটির বোঝা নিয়ে গোটা মরসুমে যে ভাবে তাঁকে বার বার সমালোচিত করা হয়েছে তা পছন্দ নয় বেঙ্কটেশের। তিনি সমালোচকদের মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, “যারা এ সব প্রশ্ন তোলে তারা আজ আমার কনট্যাক্ট লিস্টে নেই। ওরা কী ভাবছে সেটা ভাবতে যাব কেন? এটা আমার জীবন, আমার খেলা, আমার কেরিয়ার, দল আমার জন্য এত টাকা খরচ করেছে নিশ্চয়ই কিছু ভেবে। বাকিদের মাথাব্যথা থাকার দরকার নেই।”
বেঙ্কটেশের সংযোজন, “যে ছেলেটা আইপিএল খেলতে চেয়েছে তার কাছে ২০ লক্ষ টাকাও বড় অঙ্ক। এত বছরে এটাই আমি শিখেছি। শুধু আমি নয়, বাকি ক্রিকেটারেরাও জানে যে তাদের দিকে সকলের নজর থাকবে। কাদের গুরুত্ব দেবে সেটা ক্রিকেটারদের নিজস্ব ব্যাপার। যাদের সঙ্গে আমার জীবন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত শুধু তাদেরই উত্তর দেওয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে আমার।”
বেঙ্কটেশের মতে, আইপিএলের ব্যর্থতা সত্ত্বেও কখনও কেকেআর ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর বিশ্বাস হারায়নি। বেঙ্কটেশের কথায়, “শুধু তাই নয়, ওদের দলের সঙ্গে আমি খাপ খাইয়ে নিতে পারব কি না সেটাও তো দেখতে হবে। বেঙ্কি স্যর (কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর) আমাকে অনেক দিন আগে একটা কথা বলেছিলেন যেটা আজও মনে রেখেছি। উনি বলেছিলেন, ‘দিনের শেষে আপনার হাতে ১২০টা ইউনিট রয়েছে। দল তৈরি হয়ে গেলে কার পিছনে কতটা খরচ করেছি তা দেখার দরকার পড়ে না। দলটাই সেখানে প্রধান ব্যাপার।”
আরও পড়ুন:
গত আইপিএলে কেকেআর অনেক ম্যাচ হেরেছে। তবে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হার সবচেয়ে বেশি ব্যথা দিয়েছে বেঙ্কটেশকে। সেই ম্যাচে ১১১ রান তাড়া করতে গিয়ে ৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। বেঙ্কটেশ বলেছেন, “আইপিএলের সবচেয়ে বেদনাদায়ক মুহূর্ত ওটাই। ১১১ রান তাড়া করতে গিয়ে হেরে যাওয়া কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই ম্যাচ কোনও মতেই হারা উচিত ছিল না।”