চলছে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল। তৃতীয় দিনের শেষে চাপ আরও বেড়েছে মুম্বইয়ের উপর। ক্রমেই তাদের থেকে লিড বাড়িয়ে চলেছে বিদর্ভ। অন্য দিকে কেরলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গুজরাত। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার লক্ষ্যে দু’দল।
দ্বিতীয় দিনের শেষে মুম্বইয়ের রান ছিল ৭ উইকেটে ১৮৮। তখনও ক্রিজ়ে ছিলেন ওপেনার আকাশ আনন্দ। তিনি মুম্বইকে কিছুটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান। তনুশ কোটিয়ানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আকাশ। তনুশ করেন ৩৩ রান। আকাশ শতরান পূর্ণ করেন। ১০৬ রান করে আউট হন তিনি। ২৭০ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে বিদর্ভ। শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। করুণ নায়ারও রান পাননি। ৫৬ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় তাদের। মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের মনে আশা জাগে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢালেন বিদর্ভের অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদকর ও যশ রাঠৌর। তৃতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত খেলেন তাঁরা। অক্ষয় ৩১ ও যশ ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তৃতীয় দিনের শেষে বিদর্ভের রান ৪ উইকেটে ১৪৭। মুম্বইয়ের থেকে ২৬০ রানে এগিয়ে তারা। চতুর্থ দিন আরও ১০০ রান করতে পারলে চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য তাড়া করতে সমস্যা হতে পারে সূর্যকুমার যাদবদের।
আরও পড়ুন:
অপর সেমিফাইনালে কেরলকে তাদের ভাষাতেই জবাব দিচ্ছে গুজরাত। তৃতীয় দিনের শুরুতে কেরলের রান ছিল ৭ উইকেটে ৪১৮। বেশি রান যোগ করতে পারেনি তারা। ৪৫৭ রানে অল আউট হয়ে যায় কেরল। ১৭৭ রান করে অপরাজিত থেকে যান মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন।
জবাবে ভাল শুরু করেন গুজরাতের দুই ওপেনার প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল ও আর্য দেশাই। ১৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। শুরুতে বেশি আক্রমণাত্মক শট খেলছিলেন আর্য। ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। তার পরে রান তোলার দায়িত্ব নেন গুজরাতের অধিনায়ক পাঞ্চাল। শতরান করেন তিনি। তৃতীয় দিনের শেষে গুজরাতের রান ১ উইকেটে ২২২। কেরলের থেকে ২৩৫ রানে পিছিয়ে তারা। ১১৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন পাঞ্চাল। যা পরিস্থিতি তাতে এই ম্যাচে যে দল প্রথম ইনিংসে লিড নেবে সেই দলই জিতবে। তাই প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার লড়াই চলছে দু’দলের মধ্যে।