রবিবার আইপিএলে শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানে হেরেছে কলকাতা। অষ্টম স্থানে শেষ করে আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। ম্যাচের পরেই কেকেআরের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের দিকে আঙুল তুললেন বীরেন্দ্র সহবাগ। জানালেন, দলের থেকে রাহানে নিজেকে এগিয়ে রেখেছিলেন বলেই এই অবস্থা হয়েছে। বুঝিয়ে দিলেন, কেকেআরের কথা না ভেবে শুধু নিজের কথা ভাবেন রাহানে।
ম্যাচের পর সহবাগ এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “কোথাও তো এ রকম লেখা নেই যে দলের অধিনায়ককে প্রথম তিনেই ব্যাট করতে হবে। (ঋষভ) পন্থকে দেখুন। ও অনেক ম্যাচে সতীর্থদের এগিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা ফর্মে ছিল। লখনউ চাইছিল সেটার সুবিধা নিতে।”
সহবাগের সংযোজন, “কেকেআরেরও একই কাজ করা উচিত ছিল। এটা দল পরিচালন সমিতি এবং কোচিং স্টাফের দায়িত্ব। গুজরাতের বিরুদ্ধে চেন্নাই কী করল দেখুন। দরকারমতো শিবম দুবে এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে উপরে তুলে আনল। আগের ম্যাচের ব্যাটিং কম্বিনেশন বদলে ফেলল।”
সহবাগের কথা কিছুটা অংশে সত্যিই। পন্থ এমনিতে নামেন চার নম্বরে। তবে অনেক ম্যাচেই সতীর্থ ব্যাটারদের এগিয়ে দিয়েছেন। আয়ুষ বাদোনি, আব্দুল সামাদ, ডেভিড মিলারেরা নেমেছেন পন্থের আগে।
তবে লখনউয়ের অধিনায়ককে সমালোচিতও হতে হয়েছে। এমনিতেই তাঁর ব্যাটে রান ছিল না। তাই অভিযোগ উঠেছিল, নিজেকে ‘লুকিয়ে’ রাখতেই ব্যাটিং অর্ডারে পিছিয়ে যাচ্ছিলেন পন্থ।
আরও পড়ুন:
হায়দরাবাদের কাছে হারের পর দলের ব্যাটিং বিভাগকে দায়ী করেছিলেন রাহানে। তাঁর মতে, ব্যাটারেরা অহেতুক নিজেদের উপর চাপ নিয়েছেন। তাতে দলকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। রাহানে বলেন, “কয়েকটা মরসুম ভাল গেলে সকলের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। তখন অনেকে নিজের উপর অহেতুক চাপ নিয়ে ফেলে। প্রত্যেকেরই এই সমস্যা হয়। আমাদের দলের ব্যাটারেরা ভাল ফর্মে ছিল। গত বার খুব ভাল খেলেছে। এ বার ওরা নিজেরাই নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়ে ফেলেছে। তাই পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে।” অবশ্য রাহানে নিশ্চিত, পরের মরসুমে আবার ভাল ভাবে ফিরবেন রিঙ্কু সিংহ, রমনদীপ সিংহেরা।
ব্যাটারদের দায়ী করলেও বোলারদের উপর দোষ চাপাননি রাহানে। উল্টে সকলের প্রশংসা করেছেন তিনি। রাহানে বলেন, “হর্ষিত জাতীয় দল ও আমাদের হয়ে ভাল খেলেছে। বরুণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খুব ভাল খেলেছে। সেই কারণে হয়তো এ বার ও একটু ক্লান্ত ছিল। কিন্তু হর্ষিত, বরুণ, সুনীল, বৈভবদের পরিকল্পনা নির্দিষ্ট ছিল। সেই অনুযায়ী ওরা বল করার চেষ্টা করেছে।” এ বারের আইপিএলে বেগনি টুপির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বরুণ। সপ্তম স্থানে বৈভব। দু’জনেই ১৭টা করে উইকেটে নিয়েছেন। হর্ষিত নিয়েছেন ১৫টা উইকেট।