Advertisement
E-Paper

ইংল্যান্ডে চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাম্বলি! অজানা তথ্য প্রকাশ্যে

এখনও অর্থের অভাবে ভুগছেন তিনি। কিছু দিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় আরও এক বার প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁর দুরবস্থার কথা। অথচ সব ঠিকঠাক থাকলে বিনোদ কাম্বলি এখন কোটিপতি হতে পারতেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১৮:১০
Vinod Kambli

বিনোদ কাম্বলি। —ফাইল চিত্র।

এখনও অর্থের অভাবে ভুগছেন তিনি। কিছু দিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় আরও এক বার প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁর দুরবস্থার কথা। অথচ সব ঠিকঠাক থাকলে বিনোদ কাম্বলি এখন কোটিপতি হতে পারতেন। ইংল্যান্ডে আংশিক সময়ের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি রাজি হননি। অর্থের প্রতি কোনও রকম আকর্ষণই ছিল না কাম্বলির। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।

ইংল্যান্ডে বহু ক্রিকেটারকে কাউন্টিতে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ী সলি অ্যাডাম। সচিন তেন্ডুলকরকে ইয়র্কশায়ারে সই করিয়েছিলেন তিনিই। সেই সচিনই ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন কাম্বলিকে। নজর কাড়লেও নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি কাম্বলি।

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে সলি বলেছেন, “এক দিন ১০ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে বসে আড্ডা মারছিলাম। প্রত্যেকে আংশিক সময়ের কাজ করত। শুধু বিনোদ আর সচিন ছাড়া। মুম্বইয়ের এক ক্রিকেটার তখন বিনোদকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তুমি তো প্রতি ম্যাচে ২৫ পাউন্ড পাও। তা হলে সলির কোনও একটা সংস্থায় কাজ করছ না কেন’। সঙ্গে সঙ্গে কাম্বলি উত্তর দিয়েছিল, ‘আমি আর সচিন টেস্ট ক্রিকেট খেলে টাকা উপার্জন করব। আংশিক সময়ের কাজ করে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চাই না’। নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত ছিল। কী অসাধারণ আত্মবিশ্বাস। তখন তরুণ ক্রিকেটার ছিল কাম্বলি। ওই আত্মবিশ্বাস দেখতে পাওয়া সত্যিই বিরল ছিল।”

সলি জানান, কাম্বলির রোজগার করা ৭০০ পাউন্ড নিজে মুম্বই গিয়ে কাম্বলির বাবার হাতে তুলে দিয়ে এসেছিলেন। মুম্বই ফেরার পর বাবার থেকে সব টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন কাম্বলি। সলির বক্তব্য, কখনও অর্থের যোগ্য মার্যাদা দেননি কাম্বলি। নিজের বইয়ে কাম্বলির উপর গোটা একটি অধ্যায়ও লিখেছেন সলি। কাম্বলি দেশে ফেরার পর বহু চেষ্টা করেও আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

আর এক ভারতীয় নাসা হুসেন তুলে ধরেছেন কাম্বলির শটের কথা। বলেছেন, “ওর মতো জোরে শট মারতে কাউকে দেখিনি। আমার প্রথম বলই বাউন্ডারির বাইরে উড়িয়ে দিয়েছিল। এখনকার দিনে ও কোটিপতি হতে পারত।”

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy