Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Wasim Akram

১৪ বছর আগের ঘটনা, ভারত নিয়ে আবেগে এখনও চোখে জল আক্রমের, কী হয়েছিল সে দিন?

২০০৯ সালের একটি ঘটনা। সেটি ঘটেছিল চেন্নাইয়ে। ১৪ বছর পরেও সেই ঘটনার কথা মনে করলে চোখে জল চলে আসে আক্রমের।

file pic of wasim akram

স্ত্রীকে অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখে চেন্নাই বিমানবন্দরেই আক্রমের চোখে জল এসে গিয়েছিল। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩১
Share: Save:

ক্রিকেটার হিসাবে সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন ওয়াসিম আক্রম। তার মধ্যেই একটি হল প্রথম স্ত্রী হুমার মৃত্যু। ২০০৯ সালে ভারতে মারা যান হুমা। চেন্নাইয়ে নাটকীয়তায় মোড়া ছিল তাঁর সেই মৃত্যুর সময়টি। তিনি আচমকাই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে। সেই ঘটনা মনে করে ১৪ বছর পরেও আক্রমের চোখ জলে ভিজল।

সেই সময়েও কেঁদে ফেলেছিলেন আক্রম। স্ত্রীকে অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখে চেন্নাই বিমানবন্দরেই তাঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল। তাঁর কাছে ভারতের ভিসাও ছিল না। শুধু পাকিস্তানের পাসপোর্ট ছিল। কিন্তু ভারতের অভিবাসন দফতরের সহায়তায় দ্রুত হুমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। যদিও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

আক্রম বলেছেন, “চিকিৎসা করাতে স্ত্রীকে নিয়ে আমি সিঙ্গাপুরে যাচ্ছিলাম। চেন্নাইয়ে বিমান নেমেছিল তেল ভরাতে। বিমান মাটি ছোঁয়ার পরেই হুমা অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি কাঁদতে থাকি। তবে বিমানবন্দরের মানুষ আমায় চিনতে পেরেছিলেন। আমাদের কাছে ভারতের ভিসা ছিল না। শুধু পাকিস্তানের পাসপোর্ট ছিল।”

পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলারের সংযোজন, “চেন্নাই বিমানবন্দরের রক্ষীরা এবং কাস্টমস ও অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা আমায় ভিসা নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেছিলেন। আমাকে বলেছিলেন স্ত্রীকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যেতে। ভিসার ব্যাপারটা তাঁরা সামলে নেবেন। ওই আচরণ কোনও দিন ভুলতে পারব না।”

সেই চেন্নাইয়ের সুখের স্মৃতিও রয়েছে আক্রমের। এক দিন আগেই সেই কথা বলেছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার উল্লেখ করেছেন ১৯৯৯ সালে চেন্নাই টেস্টের কথা। সেই ম্যাচে কী ভাবে সচিন তেন্ডুলকরকে আউট করেছিলেন, সেই নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন আক্রম।

কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, “চেন্নাই টেস্ট আমার কাছে স্পেশ্যাল। সাকলাইন মুস্তাকের মতো বিশ্বসেরা বোলার আমাদের কাছে থাকা সত্ত্বেও অনায়াসে খেলে যাচ্ছিল সচিন। প্রথম ইনিংসে সাকলাইনের দুসরা অনায়াসে খেলেছিল। প্রতি বার সাকলাইন দুসরা দেওয়ার সময় কিপারের পিছন দিয়ে ল্যাপ শট খেলছিল সচিন, যা সেই সময় দেখাই যেত না।”

আক্রমের সংযোজন, “আমার মনে আছে কতটা হাড্ডাহাড্ডি হয়েছিল সেই ম্যাচ। ভারতের জিততে ২০ রান মতো দরকার ছিল এবং সচিন ১৩৬ রানে ব্যাট করছিল। তখন প্রত্যেক ফিল্ডার বাউন্ডারিতে। সচিনের বিরুদ্ধে বল করছিল সাকলাইন। আমি ওকে বললাম অফস্টাম্পের বাইরে দুসরা বল করতে এবং হাওয়ায় বলটা ভাসিয়ে দিতে। তা হলে ও মিডউইকেট দিয়ে মারতে যাবে। ঠিক সেটাই হল। ও ছয় মারতে গেল। বল ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে গেল। আমি ক্যাচ ধরে নিলাম এবং ম্যাচটাও আমরা জিতে গেলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wasim Akram Chennai India vs Pakistan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE