কথা দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। সেই কথা কি রাখবেন তিনি? রিঙ্কু সিংহের বাগ্দানে দেখা যায়নি শাহরুখকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারের বিয়েতে কি যাবেন বলিউডের বাদশা?
জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ নভেম্বর রিঙ্কুর বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শাহরুখের। ২০২৩ সালের আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে পাঁচটা ছক্কা মেরে কেকেআরকে জিতিয়ে প্রথম বার নজর কেড়েছিলেন রিঙ্কু। সেই ম্যাচের পরেই তাঁকে কথা দিয়েছিলেন শাহরুখ। সে কথা জানিয়েছিলেন রিঙ্কু নিজেই। তিনি বলেছিলেন, “স্যর আমাকে ফোন করেছিলেন। উনি বলেছেন, ওঁকে অনেকেই তাঁদের বিয়েতে ডাকে। উনি যান না। কিন্তু আমার বিয়েতে উনি এসে নাচবেন।” এখন দেখার শাহরুখ তাঁর দেওয়া কথা রাখেন কি না।
রবিবার লখনউয়ের একটি হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রিঙ্কু ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদ প্রিয়া সরোজের বাগ্দান হয়। বিশেষ দিনে রিঙ্কু পরেছিলেন সাদা রঙের শেরওয়ানি। তাতে রুপোলি সুতোর কাজ করা। প্রিয়ার পরনে ছিল হালকা গোলাপি আভার লহেঙ্গা চোলি। সঙ্গে মানানসই গয়না। হাত ধরে অনুষ্ঠানে আসেন তাঁরা। মঞ্চে যখন দু’জন দু’জনের আঙুলে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন তখন বাজি পোড়ানো হয়। রিঙ্কু তাঁর আঙুলে আংটি পরিয়ে দেওয়ার পরেই কেঁদে ফেলেন প্রিয়া। তবে দুঃখে নয়, আনন্দে চোখের জল বাঁধ মানছিল না তাঁর। বার বার কান্না থামানোর চেষ্টা করছিলেন। মুখে হাসি থাকলেও চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। বাধ্য হয়ে শেষে টিস্যু পেপারে চোখ মোছেন প্রিয়া। হাত তুলে আংটিও দেখান তাঁরা। তার পরে অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলেন দু’জনে।
রিঙ্কু-প্রিয়ার বাগ্দানের অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল। কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোর গিয়েছিলেন সেখানে। ছিলেন অখিলেশ যাদব, জয়া ভাদুড়ি। আরও অনেক রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সকলের সঙ্গে ছবি তোলেন রিঙ্কু ও প্রিয়া।
আইপিএল শেষ। ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম শুরু হয়নি এখনও। ভারতীয় দলের সাদা বলের সূচিও নেই। ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা তাই এখন কিছুটা কম রিঙ্কুর। এই ফাঁকে বাগ্দান পর্ব সেরে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সেরা ফিনিশার। সামনেই বিয়ে। কয়েক দিন আগে বাগ্দান সেরেছেন ভারতের আর এক ক্রিকেটার কুলদীপ যাদব। এ বার নতুন জীবনের পথে এগোলেন রিঙ্কু।
রিঙ্কুর শ্বশুর তুফানি সরোজও রাজনীতিবিদ। তিনি উত্তরপ্রদেশের কেরাকাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রিয়ার সঙ্গে আলাপ রিঙ্কুর। তুফানি বলেছেন, ‘‘রিঙ্কু এবং প্রিয়া এক বছরের বেশি পরস্পরকে চেনে। বিয়ের জন্য উভয় পরিবারের সম্মতি প্রয়োজন ছিল। দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার পর ওদের বিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
পড়াশোনা শেষ করার পর থেকে বাবার সঙ্গে রাজনীতি শুরু প্রিয়ার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মছলীশহর কেন্দ্র থেকে জেতেন প্রিয়া। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক প্রিয়া সাংসদ হওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ২০২২ সালে বাবার নির্বাচনী প্রচারে প্রথম নজর কেড়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে, রিঙ্কু প্রথম প্রচারের আলোয় এসেছিলেন ২০২৩ সালের আইপিএলে যশ দয়ালকে পর পর পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে কেকেআরকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়ে। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও এখন নিয়মিত সদস্য রিঙ্কু। এ বারের আইপিএলে ১৩টা ম্যাচে ২০৬ রান করেছেন। দেশের হয়ে ৩৩টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাশাপাশি দুটো এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।