হেডিংলেতে ব্যাট করার সময় দু’হাতে টান ধরেছিল যশস্বী জয়সওয়ালের। তিনি যখন ৯০ রানে ব্যাট করছেন, তখন ব্রাইডেন কার্সের বল লেগেছিল হাতে। ফিজিয়োর শুশ্রূষা নিতে হয়। তবু দমে যাননি যশস্বী। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওপেন করতে নেমে তাঁর ১০১ রানের ইনিংসে চোট-আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। প্রথম দিনের খেলার শেষে যশস্বী নিজেই জানিয়েছেন তাঁর লড়াইয়ের কথা।
হাতে টান ধরলেও ব্যাট করার সময় সেটা নিয়ে বেশি ভাবেননি যশস্বী। বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে যশস্বী বলেছেন, ‘‘দু’হাতেই টান ধরেছিল ইনিংসের মাঝে। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। অনেক সময়ই হয়। নিজের খেলা নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। পিচে নেমে নিজেকে সম্পূর্ণ মেলে ধরাই আমার লক্ষ্য। আর শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যাট করা সব সময় আনন্দের। ওর সঙ্গে পিচে সময় কাটাতে সব সময়ই ভাল লাগে।’’
ইংল্যান্ডের মাঠে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। যশস্বী বেশি খুশি দলকে ভরসা দিতে পেরে। ইনিংসের ভিত তৈরি করতে পেরে। তিনি বলেছেন, ‘‘দলের জন্য, দেশের জন্য সব সময় ভাল খেলার চেষ্টা করি। চাপের মুখে খেলার সময় মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর মানসিক ভাবে ঠিক জায়গায় থাকতে সাহায্য করে ভাল পরিবেশ। সেটা আমাদের দলে রয়েছে।’’ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন পর পর অবসর নেওয়ার এখন তাঁদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে বলে মনে করেন যশস্বী। বাড়তি দায়িত্ব নিতেও তৈরি ২৩ বছরের ওপেনিং ব্যাটার।
শুভমনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১২৯ রানের জুটি তৈরি করেন যশস্বী। তাঁদের জুটি দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। তা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘শুভমনকে বলে রেখেছিলাম, আমি ঝুঁকি নিয়ে খুচরো রান নেওয়ার চেষ্টা করলেই আটকে দিতে। ওকে বলেছিলাম, ‘আমাকে বার বার মনে করাবে। শট খেলেই রান নেওয়ার জন্য এগিয়ে যাওয়ার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’ শুভমন আমাকে বার বার মনে করিয়েছে। ধরে খেলার কথা বলেছে।’’
আরও পড়ুন:
আইপিএলের পরই টেস্ট সিরিজ়। দুই ধরনের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে বিস্তর ফারাক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রভাব লাল বলের ক্রিকেটে পড়ুক চাননি যশস্বী। সেটা নিশ্চিত করতে অধিনায়ককে দায়িত্ব দেন তাঁকে বার বার সতর্ক করার। উল্লেখ্য, শুভমন অপরাজিত আছেন ১২৭ রান করে।