Advertisement
২১ মে ২০২৪

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু

৩৩ বছরের রোনাল্ডো অবশ্য ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্সটাগ্রামে মন্তব্য করেন ‘‘সম্পূর্ণ বাজে গল্প।’’

কাঠগড়ায়: রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নয়া মোড়। ফাইল চিত্র

কাঠগড়ায়: রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নয়া মোড়। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২৩
Share: Save:

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে লাস ভেগাসের পুলিশ। নতুন করে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অভিযোগকারী মহিলার অনুরোধে। তাঁর নাম ক্যাথরিন মায়োরগা। অভিযোগের মোদ্দা বক্তব্য, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলের ঘরে তাঁকে ধর্ষণ করেন পর্তুগিজ ফুটবল তারকা।

এই খবর প্রথম বেরিয়েছিল জার্মানির বিখ্যাত পত্রিকা ডের স্পিগেলে। ৩৩ বছরের রোনাল্ডো অবশ্য এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করে ইন্সটাগ্রামে মন্তব্য করেন ‘‘সম্পূর্ণ বাজে গল্প।’’ তাঁর প্রতিনিধিরা এমনকি জার্মান পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ডের স্পিগেলের দাবি, অভিযোগকারী চৌত্রিশ বছরের এই মহিলা ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে নালিশ করেন। শোনা যায় ২০১০ সালে তিনি আদালতের বাইরে রোনাল্ডোর সঙ্গে রফা করে নেন। কথা দেন, বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন না। এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তিনি রোনাল্ডোর কাছ থেকে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকাও নেন বলে অভিযোগ।

এখন কিন্তু ক্যাথরিন মায়োরগার আইনজীবীরা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্য রোনাল্ডোর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তাকে গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন। এমনিতে লাস ভেগাস পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৯ সালে প্রথম বার তাদের কাছে এই অভিযোগ আসার পরে তারা তদন্তও করেছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে কাউকেই সন্দেহজনক বলে মনে হয়নি। পুলিশ দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘অভিযোগ করার সময় অভিযোগকারী ঘটনার কোনও সাক্ষীর নাম বা কাকে সন্দেহ করা হচ্ছে তা নিয়ে কিছুই জানাননি।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন করে আমরা তদন্ত শুরু করছি নতুন পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।’’

এ দিকে, অভিযোগকারী মহিলা জার্মান পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ভয় এবং পরিবারের নিরাপত্তার খাতিরে তিনি মুখ বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর এও মনে হয়েছিল যে রোনাল্ডোর মতো মহাতারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি কখনও সুবিচার পাবেন না। যদিও সেই ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাঁকে তাড়া করে। আর এতদিন পরে তাঁর মনে হচ্ছে, রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো মনের জোর তিনি অর্জন করেছেন। কিছুদিন আগেও এই মহিলা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সম্প্রতি তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। ২০০৯ সালে রোনাল্ডোর সঙ্গে আলাপ হওয়ার সময় অবশ্য ক্যাথরিন একজন মডেল ছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার ঠিক আগে লাস ভেগাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। সে সময় একটি নাইটক্লাবে ক্যাথরিন চাকরি করতেন। বারের সামনে দাঁড়িয়ে অতিথিদের প্রলুব্ধ করাই নাকি তাঁর কাজ ছিল। মহিলার দাবি অনুযায়ী, রোনাল্ডো সেখানে গিয়েছিলেন এবং সে সময়ই নাকি এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE