আগের ম্যাচেও তিনিই ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাঁটা। ‘বদলার’ ম্যাচে ফের কেকেআরকে আগাম সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দিলেন তিনি। তিনি— সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। যাঁর ব্যাটিং দাপটের সৌজন্যেই চেন্নাই সুপার কিঙ্গসকে ২২ রানে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
শনিবাসরীয় লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তবে শুরুতেই ঝড় তুলে দেন ওয়ার্নার। ক্যাপ্টেন্স ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। বলের পর বল। চারের পর চার। ২৮ বলে ৬১ করেন ওয়ার্নার। যে ইনিংসের মেন্যুতে ছিল ১১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা। যে ইনিংসের উপর ভর করে প্রথম ৮ ওভারে ৮৬ তোলে হায়দরাবাদ। ওয়ার্নার আউট হলেও ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শিখর ধবন। ৩২ বলে ৩৭ করেন। মিডল ওর্ডারে কয়েকটা উইকেট হারালেও ইয়ন মর্গ্যানের অপরাজিত ৩২ হায়দরাবাদকে ১৯২ তুলতে সাহায্য করে।
জবাবে ৬৮ রানের মধ্যে ম্যাকালাম, স্মিথ আর রায়নার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের হারায় চেন্নাই। ফাফ দু’প্লেসি ২২ বলে ৩৩ করলেও রান আউট হয়ে যান। ধোনির উইকেট নিয়ে ম্যাচ একতরফা লড়াইয়ে পরিণত করে হায়দরাবাদ। ২০ ওভার খেলেও ১৭০ রানের বেশি তুলতে ব্যর্থ হয় চেন্নাই। হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার ও মোসেস এনরিকে দু’জনেই তোলেন ২ উইকেট।
ধোনিদের হারিয়ে হায়দরাবাদের পরের প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স। যার আগে ওয়ার্নার সাফ জানিয়ে দিলেন, দলের স্ট্যাটেজি পাল্টাবে না। অর্থাত্ ওপেনিং জুটির একজন বড় শট মারবে। অপরজন সাপোর্ট দেবে। ‘‘প্রথম ছয় ওভারে আমি আর শিখর ওপেনিং নেমে দেখে নিচ্ছি কে বেশি শট মারছে। অপরজনের কাজ সাপোর্ট দেওয়া।’’ বড় জয়ের পিছনে অন্যতম কারণ মাঠের পিচ, সেই কথাও স্বীকার করেন ওয়ার্নার। ‘‘ভেবেছিলাম ১৬০-১৭০-এর বেশি রান উঠবে না। কিন্তু পিচ খুব ভাল ছিল।’’ পাশাপাশি আবার টানা দুটো ম্যাচ হারা চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনি বলছেন, ‘‘আমরা ভাল বল করতে পারিনি। এই স্টেডিয়ামে ১৮০-১৯০ তাড়া করা খুবই মুশকিল। ওরা ১৯০ করায় প্রতিটা রানই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy