সাত নম্বরে নেমে ১৫৪ বলে অপরাজিত ৩১৫। শনিবার সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগে মোহনবাগান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দেবব্রত দাস এমনই কান্ড ঘটালেন। যাকে নিজের সেরা ইনিংস বলছেন বাংলার হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার।
বাটা মাঠে ভূকৈলাসের (১৮৩) বিরুদ্ধে মোহনবাগান যখন ১৩০-৫-এ হিমশিম খাচ্ছিল, তখন নামেন দেবব্রত। মেঘলা দিনে ঝড় তুলে দেন তিনি। নিজের ডাকনাম রাজার মতোই বোলারদের শাসন শুরু করে দেন। ২৮টা চার ও ১৮টা ছয় মেরে। দু’শোর উপর স্ট্রাইক রেট। খেলার পর রাতে দেবব্রত বলছিলেন, ‘‘এ রকম ইনিংস তো প্রতি দিন হয় না। আজ ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হচ্ছিল, প্রস্তুতি ছিল, ফোকাস ছিল। এটাই সেরা ইনিংস।’’
মোহনবাগানকে প্রায় খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন দেবব্রত। ৮১.১ ওভারে ৬২১-৮ তুলে ডিক্লেয়ারও করে দেয় তারা। দেবব্রতকে যোগ্য সঙ্গত দেন রাজা যাদব (১০১ ন.আ)।
আইপিএলে তিন মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। ২০১২-য় চিপকে চেন্নাই সুপার কিংগসের বিরুদ্ধে তাঁর ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারি এখনও মনে আছে অনেকের। গত মরসুমে জাতীয় টি টোয়েন্টি মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেছিলেন এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। তবে সে বার তাঁর সেই পরিচিত আগ্রাসন দেখা যায়নি। এ বারও বাংলার হয়ে ওয়ান ডে ও টি টোয়েন্টিতে খেলার আশায় রয়েছেন। সে জন্যই কি এমন এক ঝোড়ো ইনিংস? দেবব্রত-র জবাব, ‘‘বাংলার হয়ে খেলাটা তো বরাবরই আমার মোটিভেশন। প্রস্তুতিটাও সে ভাবেই নিয়েছি। এ রকম ইনিংস সব ম্যাচেই খেলতে চাই। ভাগ্য ভাল যে আজ এ রকম একটা ইনিংস খেলতে পারলাম। এ রকম আরও ইনিংস খেলতে চাই।’’
অন্যান্য ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল এ দিন বালিগঞ্জ ইউনাইটেডের (২৪৬) বিরুদ্ধে ২৫০-৯ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। কালীঘাটের ৩৯১-৬-এর জবাবে জর্জ টেলিগ্রাফ দিনের শেষে ১৮৫-৭। শ্যামবাজার ৪৯২-৯-এ ডিক্লেয়ার করার পর ইউনাইটেড ক্লাব ২৭৯-৫। প্রথম ডিভিশনে এ দিন ন’টা সেঞ্চুরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy