আইপিএল ম্যাচ ১, তারায় তারায় যুদ্ধ: ডেভিড বনাম গেইলিয়াথ
এক বছর আগের ফাইনালে দু’টো দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, ফেভারিট নিঃসন্দেহে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু ট্রফি জিতে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এক বছর পরে ছবিটা বদলে গিয়েছে। আগের বারের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স এখন ফর্ম ও ফিটনেসের দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সমস্যায় জর্জরিত আরসিবি-র থেকে। বেঙ্গালুরু শুধু বিরাটকেই হারায়নি, দশম আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দলে পাচ্ছে না এবি ডিভিলিয়ার্সকে। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার মুখে সরফরাজ খানও। বিরাট, এবি-র অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন শেন ওয়াটসন। উল্টো দিকে এই ম্যাচে সানরাইজার্স দলে নেই শুধু বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের দলকে ফেভারিট বলতে চান না সানরাইজার্স কোচ টম মুডি। বরং তিনি ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিচ্ছেন, কোনও ভাবেই যেন দলের মধ্যে আত্মতুষ্টি ঢুকে না পড়ে। ভুলে যেতে বলছেন যে, তোমরা চ্যাম্পিয়ন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুডি বলেন, ‘‘আমরা জানি আরসিবি-কে গত বার ফাইনালে হারিয়েছি। জানি, এ বার ওদের দলে অনেক চোট-আঘাতের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আবার এও জানি, বুধবার রাতে আমাদের জন্য একটা কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করে আছে।’’
আরও পড়ুন: বৃষ্টিভেজা নিজামের শহরে আজ শুরু ক্রিকেটের মহোৎসব
তাঁরা যে গত বারের চ্যাম্পিয়ন, সেটাও আর মাথায় রাখতে চান না মুডি। ‘‘টি-টোয়েন্টির মতো ক্রিকেটে আপনি গত বার ট্রফি জিতেছেন কি না, তাতে কিছু এসে যায় না। এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে আপনাকে সব সময় উন্নতি করে যেতে হয়। সব সময় বিপক্ষের থেকে এক পা এগিয়ে থাকতে হয়। না হলে আপনি পারবেন না,’’ বলেছেন সানরাইজার্স কোচ।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ইন্ডোরে প্র্যাকটিস করল সানরাইজার্স। যেখানে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার বল ছুড়ে ছুড়ে প্র্যাকটিস দিলেন যুবরাজ সিংহ, শিখর ধবনদের।
গত বার সানরাইজার্সকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে অবশ্য ব্যাটসম্যানদের থেকে বেশি ভূমিকা ছিল বোলাদের। সেই বোলিং ব্রিগেডের এক জন, ভুবনেশ্বর কুমার মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন। গত বার ট্রফি জেতার ফলে এ বার আমাদের ওপর প্রত্যাশাটা অনেক বেশি। তাই দায়িত্বটাও বেশি।’’ গত বারের কথা বলতে গিয়ে ভুবনেশ্বর আরও বলেন, ‘‘গত বার আমরা বোলিং ইউনিট হিসেবে খুব ভাল পারফর্ম করেছি। বিশেষ করে ডেথ ওভারে। ওটাই আমাদের বড় শক্তি ছিল। ডেথ ওভারে ভাল বল করা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে গেলে শেষ ৪-৫ ওভারে ভাল বল করতে হয়। ওখানেই ম্যাচ ঘুরে যায়। আমরা, মানে, আমি, নেহরা, মুস্তাফিজুর, বারিন্দর কাজটা ঠিকঠাকই করেছিলাম।’’
প্রথম দিকে ভুবনেশ্বরের নতুন বলের সঙ্গী ছিলেন যিনি, সেই আশিস নেহরা বলেছেন, ‘‘আমার প্রধান অস্ত্র গতি। আর সেই গতিটা ঠিকঠাক রাখতে ফিটনেসের ওপর জোর দিচ্ছি।’’ গত বার আইপিএলের মাঝপথে চোট পেয়ে ছিটকে যান নেহরা। দশটা অস্ত্রোপচার হয়ে যাওয়া, ৩৮ বছর বয়সি এই পেসার বলেছেন, ‘‘এক এক জন খেলোয়াড়ের এক এক রকম ফিটনেস রুটিন থাকে। আমার বয়সে জোরে বল করাটা খুব সহজ কাজ নয়। আমি দিনে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা ফিটনেসের পিছনে দিই। বাকিদের থেকে হয়তো এক-দু’ঘণ্টা বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy