তিন আর চার। সংখ্যা দু’টোর মধ্যে ব্যবধান ঠিক কত? যদি টেস্ট ক্রিকেটের অঙ্কে ভাবি, তা হলে উত্তরটা কিন্তু একের চেয়ে ঢের বেশি!
দু’টো টেস্টের লড়াই কখনওই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ নয়। আজকাল সিরিজ সাধারণত তিন টেস্টের হয়। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তিন ম্যাচের সিরিজই বেশি হচ্ছে। তবে সেটাও খানিকটা ‘সাডেন ডেথ’-এর মতো। আসল খেলা হল চার টেস্টের। লড়াই তাতে একেবারে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
একটা কথা এখনই বলে রাখছি। ঘরের মাঠের সুবিধা-টুবিধা নয়, এই সিরিজ সেই টিমই জিতবে, যারা মাঠে নেমে বেশি ভাল খেলবে। অবশ্য যদি না অসময়ের বৃষ্টি-টিষ্টিতে দু’একটা ম্যাচের ফয়সালা প্রভাবিত হয়। সব মিলিয়ে টেস্ট সিরিজের নির্ভেজাল চ্যালেঞ্জটা তারিয়ে উপভোগ করছি।
লম্বা সিরিজে দুই টিমেই প্লেয়ারদের ফিটনেস একটা বড় বিষয়। তবে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিতে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যেমন কাগিসো রাবাদা। এই মুহূর্তে দুর্ধর্ষ ফর্মে এবং টেস্ট সিরিজে কোনও এক সময় ও প্রথম এগারোয় ঢুকে পড়তেই পারে। আমি তো বলব, যদি মর্নি (মর্কেল), ভার্নন (ফিল্যান্ডার) আর আমি টানা ভাল বল করে ওর দলে ঢোকা আটকাতে পারি, তা হলে বুঝতে হবে আমরা দুরন্ত বোলিং করছি এবং সিরিজে পরপর জেতাচ্ছি!
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজ খেলার আগে আমরা পারফরম্যান্সের এমন একটা দিক নিয়ে খাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যা টেস্ট ম্যাচে হার-জিতের ফয়সালা করে দিতে পারে। তাতে বড় ভুমিকা ছিল বোলারদের। তবে বল নয়, ব্যাট হাতে। ২০০৮-’০৯-এর সেই সিরিজে পন্টিংয়ের টিমকে চমকে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বারও কিন্তু তেমন কিছু হলে অবাক হবেন না। খুব স্বাভাবিক কারণেই চাইছি আমাদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানই রান তোলার কাজটা করে দিক। কিন্তু যদি কোনও কারণে তার পরেও আট, নয়, দশ আর এগারো নম্বর ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আরও একশো-দেড়শো রান দরকার পড়ে, সেটা করে দেওয়ার মতো জায়গায় থাকতে চাই। নেটে ব্যাটিং নিয়ে রীতিমতো মেহনত করছি আমরা বোলাররা। ঠিক যে রকম সে বার অস্ট্রেলিয়ায় করেছিলাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy