Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকেই দোষ দিচ্ছেন ধোনি

লড়াইটা ছিল ডোয়েন স্মিথের বিধ্বংসী ব্যাটিং বনাম জেমস ফকনারের ঘাতক বোলিংয়ের। এমএস ধোনির বরফ ঠান্ডা মাথা আর শেন ওয়াটসনের মরসুমে প্রথম দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটাও ছিল দেখার। সেই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসকে ঝলসে ওঠা থেকে থামাতে পারলেন না ‘ক্যাপ্টেন কুল’। চেন্নাই সুপার কিঙ্গসকে আট উইকেটে হারিয়েই রবিবার আইপিএল আটে প্রথম পাঁচে পাঁচ করে ফেলল রাজস্থান রয়্যালস।

মরিসের দুরন্ত ক্যাচ।

মরিসের দুরন্ত ক্যাচ।

সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১২
Share: Save:

লড়াইটা ছিল ডোয়েন স্মিথের বিধ্বংসী ব্যাটিং বনাম জেমস ফকনারের ঘাতক বোলিংয়ের। এমএস ধোনির বরফ ঠান্ডা মাথা আর শেন ওয়াটসনের মরসুমে প্রথম দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটাও ছিল দেখার। সেই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসকে ঝলসে ওঠা থেকে থামাতে পারলেন না ‘ক্যাপ্টেন কুল’। চেন্নাই সুপার কিঙ্গসকে আট উইকেটে হারিয়েই রবিবার আইপিএল আটে প্রথম পাঁচে পাঁচ করে ফেলল রাজস্থান রয়্যালস।

আইপিএল আটের দুই অপরাজিত দলের টক্করে চেন্নাইয়ের ১৫৬-৬ টার্গেট দশ বল বাকি থাকতেই তুলে ফেলল রাজস্থান। রান তাড়া করতে নেমে যার মধ্যে ওয়াটসন (৭৩) আর অজিঙ্ক রাহানের (৭৬ ন.আ) ওপেনিং জুটিই তুলে দেয় ১৪৪ রান। ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ম্যাচে নামার চ্যালেঞ্জ নিয়েও এত সহজে ওয়াটসনরা জিতবেন রাজস্থানের সমর্থকরাও বোধহয় ভাবেননি। তবে হারের দোষ নিজের ঘাড়েই নিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। ‘‘ব্যাট করতে নেমে আমি প্রচুর বল নষ্ট করেছি। উইকেটটা ভাল ছিল। যে রকম ভেবেছিলাম, সে রকমই উইকেট ব্যবহার করল।’’ সঙ্গে অবশ্য প্রচণ্ড তাপমাত্রায় তাঁদের না মানাতে পারার ব্যাপারটাও বলেন ধোনি। ‘‘পরপর খেলতে হল আমাদের। মুম্বই ম্যাচের পর। তবে সেটা কথা নয়, আমাদের ফের উঠে দাঁড়াতে হবে।’’

রাহুল দ্রাবিড়ের আবার সবচেয়ে ভাল লেগেছে তাঁর টিমের বোলিং পারফরম্যান্স। রাজস্থানের মেন্টর বলে দেন, ‘‘চেন্নাই বড় দল। ওদের ১৬০ রানে আটকে রাখাটাই আসল। অসাধারণ খেলল কিন্তু বোলাররা।’’ চেন্নাইয়ের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংকে মাথা তুলতেই না দেওয়াটা প্রথমেই ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেয় সিএসকেকে। ম্যাচ শুরুর প্রথম পাঁচ ওভারে তো মনে হচ্ছিল ওয়াটসন যেন বন্দুক তাঁক করে একের পর গুলি ছুড়ে যাচ্ছেন সিএসকে ব্যাটসম্যানদের দিকে।

বোলিং শুরুই করেন তিনি বাঁ হাতি স্পিনার অঙ্কিত শর্মাকে দিয়ে। এর পর জোরে বোলার ক্রিস মরিসকে আনেন আক্রমণে। তার পর আবার স্পিনার প্রবীণ তাম্বেকে। দীপক হুডা আর জেমস ফকনার আসেন চতুর্থ আর পঞ্চম ওভারে। এই পাঁচ ওভারে শুধু ব্রেন্ডন ম্যাকালামের উইকেট পড়লেও রাজস্থানের বোলিংয়ে ছন্দটা ওই সময়েই তৈরি হয়ে যায়। ডোয়েন স্মিথ (৪০) ছাড়া চেন্নাইয়ের টপ অর্ডারে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। মিডল অর্ডারে ডোয়েন ব্র্যাভো (৩৬ বলে ৬২ ন.আ), ধোনি (৩৭ বলে ৩১) না রান পেলে আরও লজ্জায় পড়তে হত সিএসকেকে। কিন্তু রান পেলেও রান রেট বাড়েনি সে ভাবে। শুধু বোলিংয়েই তো নয়, ব্যাটিংয়েও চেন্নাইকে টেক্কা দিয়ে গেল রাজস্থান। আইপিএল আটে যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের নজিরও গড়ল। উদ্বোধনী ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মা আর কোরি অ্যান্ডারসনের ১৩১ রানের নজির ভেঙে। তাই হয়তো রাজস্থান ক্যাপ্টেন ম্যাচ শেষে বলে দেন, ‘‘যে ভাবে আমরা খেললাম গর্ব হচ্ছে টিম নিয়ে। প্রত্যেক বছর আমরা আরও উন্নতি করছি। আসা করি এ ভাবেই আমরা এগিয়ে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE