যুদ্ধের আগে দুই অধিনায়ক দুই মেজাজে। নেটে কোচ স্টিভন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
অবশেষে ঘরের মাঠে খেলব! যাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ, সেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অবস্থা প্রায় আমাদের মতো। আমাদের নেট রান রেট একটু বেশি, এই যা।
এই যে দুটো ম্যাচ পরপর হারলাম আমরা, তার কারণ নিয়ে প্রচুর জল্পনা চলছে শুনেছি। আমাদের বোলিংয়ের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ উঠছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে বড় কাজ হল টিমটা ঠিকঠাক তৈরি করা। তবে পাশাপাশি আমরা বিশ্বাস করি যে, প্লেয়িং অর্ডার অযথা পাল্টে লাভ নেই। আর এটাও মনে হয় যে, শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিং আর বোলিং দুটো নিয়েই খাটতে হবে আমাদের।
আমাদের ব্যাটিং বিভাগে দুর্দান্ত সব প্লেয়ার আছে। অজিঙ্ক রাহানে, কেভিন পিটারসেন, স্টিভন স্মিথ, এমএস ধোনি, ফাফ দু’প্লেসিদের জন্য যে কোনও টিম লাফাবে। বিশেষ করে দু’প্লেসি এখন দারুণ ছন্দে। যদিও মনে হয় পুরো ব্যাটিং বিভাগের যন্ত্রের মতো কাজ করাটা সময়ের অপেক্ষা।
ক্রিকেট থেকে সময় বার করে পুণের এক বৃদ্ধাশ্রমে বিরাট কোহালি। ছবি- এএফপি, ফেসবুক
দু’প্লেসি যেটা করছে সেটা চলতি মরসুমের ট্রেন্ড হয়ে যেতে পারে। ওপেনারদের দারুণ রান করার কথা বলছি। বিশেষ করে রান তাড়া করার সময়। ওর জন্য কয়েকটা ম্যাচে আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে। কিন্তু শেষগুলো হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে যা নিয়ম ছিল, বিশেষ করে আগে ব্যাট করলে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের তালিকায় থাকা প্রায় সবাই ওপেনার। এর একটা কারণ হয়তো পাওয়ার প্লে শেষ হলে দলের সেরা বোলারের আক্রমণে আসা। মাঝের আর শেষের ওভারে ওরা বিপক্ষকে আটকাতে পারছে। তার আগে নয়।
এই প্রসঙ্গে বলি, আমার মনে হয় আমাদের বোলাররা এই আইপিএলে নিজেদের জন্য আলাদা জায়গা তৈরি করার দিকে অনেকটাই এগিয়েছে। তা সে ইশান্ত শর্মার ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে যত কথাই হোক। রজত ভাটিয়াকেই দেখুন। খুব সহজে বলছি, কোনও বোলারেরই পারফরম্যান্সের অভাব নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি।
বেঙ্গালুরুর ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, মুম্বইকে বড় টার্গেট দিয়েও ওরা সেটা ডিফেন্ড করতে পারেনি। এই ব্যাপারটা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আর আশা করছি এমএসের টস ভাগ্য এই ম্যাচেও ওর সঙ্গে থাকবে। কারণ এ বছর রাতের ম্যাচে যারা পরে ব্যাট করছে, তাদের ফল দারুণ ভাল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy