Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রিয় প্রোদুনোভা ছাড়াই ফাইনাল রাউন্ডে দীপা

ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ যখন জার্মানির কটবুসে ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের আলোড়ন ফেলা মেয়েকে ধরা হল, তখন ওখানকার তাপমাত্রা মাইনাস তিন ডিগ্রি। স্টেডিয়ামের ভিতরে অবশ্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা। একটু পরেই শুরু হবে বিম ইভেন্ট।

লড়াই: বিশ্বকাপে ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার পথে দীপা কর্মকার।

লড়াই: বিশ্বকাপে ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার পথে দীপা কর্মকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১০
Share: Save:

পদক পাবেনই বলছেন না, বরং জানাচ্ছেন সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। সমস্ত আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর শুক্রবার রাতে দীপা কর্মকার ফোনে বলে দিলেন, ‘‘প্রোদুনোভার বদলে নতুন একটা ভল্ট দিচ্ছি। দিল্লির শিবিরে সেটা অনুশীলন করেছি অনেক দিন। সেটা খারাপ হয়নি। পদক পাব কি না, সেটা বলা সম্ভব নয়। কেউই বলতে পারবে না। তবে স্যর (কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী) যা শিখিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব।’’ আজ শনিবার ভল্টের ফাইনাল।

ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ যখন জার্মানির কটবুসে ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের আলোড়ন ফেলা মেয়েকে ধরা হল, তখন ওখানকার তাপমাত্রা মাইনাস তিন ডিগ্রি। স্টেডিয়ামের ভিতরে অবশ্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা। একটু পরেই শুরু হবে বিম ইভেন্ট। তার মধ্যেই কোচের পাশে দাঁড়িয়ে পরামর্শ নিচ্ছিলেন পরের ইভেন্টের। তাঁর প্রিয় ‘প্রোদুনোভা’ ভল্ট এখনও শুরু করেননি দীপা। বিশ্ব মঞ্চে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ‘হ্যান্ড স্প্রিং ফ্রন্ট সমারসল্ট ৩৬০’-ই বেছে নিয়েছেন। সঙ্গে রিয়ো অলিম্পিক্সের পুরনো ভল্ট সুকাহারা ৭২০। বিশ্বেশ্বর বলছিলেন, ‘‘দুটোতেই আমার প্রত্যাশার তুলনায় ভাল করছে দীপা। ষোলো জনের মধ্যে ছয় নম্বর হয়েছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়?’’

জাকার্তা এশিয়ান গেমসে চোটের জন্য ব্যর্থ হয়েছিলেন দীপা। চোট সারিয়ে জার্মানিতে এসে স্কোর করেন ১৪.১০০। তবে তাঁর আর এক সঙ্গী জিমন্যাস্ট অরুণা রেড্ডি চোটের জন্য ছিটকে গেলেন প্রতিযোগিতা থেকে। মেলবোর্নের বিশ্বকাপে অরুণা ভল্টে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। কটবুসে কিন্তু প্রথম ভল্টের সময়ই তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। তাতে ছিটকে যান প্রতিযোগিতা থেকেও। জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া-র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ আহমেদ ভাটি বলেছেন, ‘‘গুণগত দিক থেকে বেশ কঠিন একটা ভল্ট দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অরুণার। ওয়ার্মআপের সময় আত্মবিশ্বাসেও কোনও ঘাটতি দেখা যায়নি। কিন্তু প্রতিযোগিতায় নেমে মাটিতে বেশ তাড়াতাড়িই পড়ে যায়।’’

ভারতের পুরুষ জিমন্যাস্টদের মধ্যে রাকেশ পাত্র রিংয়ে স্কোর করেন ১৪.০০০। ২৯ জনের মধ্যে তিনি ১৪ নম্বর স্থান পান। হতাশ করেছেন আশিস কুমারও। ৩৭ জনের মধ্যে ১৩.২০০ স্কোর করে তিনি ২৪ নম্বরে শেষ করেন।

ভল্টে সাফল্য পাওয়ার পর বিমে নেমেছেন দীপা। রাকেশ প্যারালাল বার-এ। আশিস ভল্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করার লক্ষ্যে কটবুসের এই প্রতিযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE