তাতেই চরম বিরক্ত দুই অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি। লেভার বলেছেন, ‘‘মারের বিরুদ্ধে অসাধারণ কয়েকটা পয়েন্ট খেলল। তবে প্রতিভা থাকলেও ছেলেটা বড্ড বেশি কথা আর হামবড়াই সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। এ ভাবে চললে ও কোথাও পৌঁছোতে পারবে না!’’ শেন ওয়ার্ন তো এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি লিখে ফেলেছেন কিরিয়সকে। যা নিয়ে তীব্র হইচই। সংখ্যাগরিষ্ঠের মত, একদম ঠিক বলেছেন ওয়ার্ন। যিনি লিখেছেন ‘‘আমরা সাবাই জানি তোমার বয়স মাত্র কুড়ি। কিন্তু ‘বাডি’ সে জন্যই অনেক কিছু শেখাও বাকি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘জীবনে সম্মান অর্জন সস্তা জনপ্রিয়তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিভা নষ্ট কোরো না। ...অস্ট্রেলিয়া তোমাকে সম্মান করতে চায়। কিন্তু তার জন্য টেনিসকে আর নিজেকে সম্মান করতে শেখো।’’ এর পর আরও হতাশা প্রকাশ করেছেন, ‘‘তুমি আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছ! কথায় নয়, তোমার ভেতরের আসল বারুদটা খেলে দেখাও। হারায় লজ্জা নেই। কিন্তু প্রমাণ করো তুমি হাল ছাড়বে না, প্রতিবার নিজের সেরা চেষ্টাটা করবে!’’
অন্য দিকে, অস্ট্রিয়ার আন্দ্রিয়াস হায়দর-মউরারকে নব্বই মিনিটে ৬-৪, ৬-১, ৬-২ ঝেড়ে ফেলে কোর্টেই নাচলেন জকোভিচ! ‘পেশাদার সুপার-ফ্যান’ ক্যামেরন হিউজেসের সঙ্গে। যিনি পুলিশি বেড়া ভেঙে কোর্টে ঢুকে জকোভিচকে ‘আই লাভ নিউ ইয়র্ক’ টি-শার্ট উপহার দিয়ে নাচার অনুমতি পেলেন। ও বাদবাকি টুর্নামেন্ট থেকে নির্বাসনের শাস্তিটা মাথা পেতে নিলেন হাসিমুখে।
চোদ্দো গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নাদাল আবার আর্জেন্তিনার দিয়েগো সেবাস্তিয়ান শোয়ার্তজমানকে ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩, ৭-৫ হারানোর পথে চল্লিশটা আনফোর্সড এরর করে মেনে নেন, জয় সহজ হয়নি। ‘‘নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। প্রচণ্ড গুমোট, তায় আক্রমণাত্মক খেলল দিয়েগো।’’ মিষ্টি স্বভাবের স্প্যানিশ মেজাজও হারালেন। তাঁর ফর্ম নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বেশ ঝাঁঝেই বললেন, ‘‘আপনাদের কথায় মনে হচ্ছে আমি আট নই, বিশ্বের দু’শো নম্বর! আমি কিন্তু মোটেই তত খারাপ খেলছি না!’’
নাদালের মতো লড়ে জিততে হল সেরেনা উইলিয়ামসকেও। তেত্রিশের তারকা গ্রাফের পর প্রথম ক্যালেন্ডার স্ল্যাম, গ্রাফের বাইশটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব আর ওপেন যুগে অভূতপূর্ব সাতটা যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার রেকর্ড তাড়া করছেন এ বার। কিন্তু ডাচ কোয়ালিফায়ার কিকি বারটেনস-এর বিরুদ্ধে ০-৪ পিছিয়ে শুরু করেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। শেষে জেতেন ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩।
পরের রাউন্ডে সেরেনার সামনে স্বদেশি বেথানি মাটেক-স্যান্ডস। যাঁকে হারাতে অনেক বেশি ভাল খেলতে হবে, মানছেন সেরেনা। বেথানি অবশ্য টেনিসের বাইরেও সেরেনাকে টেক্কা দিতে চান অন্য জায়গায়। গ্ল্যামারে। বাহারি পোশাকের জন্য এ বার নজরকাড়া বেথানি বলেছেন, ‘‘আমার ব্যাগে সব সময় বিশেষ আউটফিট রাখা থাকে। দেখি শুক্রবার কোনটা পরি!’’ সেরেনার বিরুদ্ধে সে দিনই ভাগ্য পরীক্ষা তাঁর।