ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বিরাট কোহালিদের।—ছবি এএফপি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৫-০ জেতার পরে ওয়ান ডে সিরিজে প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেয়েছে ভারত। আজ, শনিবার অকল্যান্ডে দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট কোহালিদের চ্যালেঞ্জ ঘুরে দাঁড়ানোর। ১-০ এগিয়ে থাকায় আত্মবিশ্বাসী নিউজ়িল্যান্ড সিরিজ নিশ্চিত করতে এই ম্যাচেই ঝাঁপাবে। তবে অতীতে একই রকম পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়েছিল। জিতেছিল সিরিজও। সেটাই ফের করে দেখাতে মরিয়া কোহালিরা।
তবে গত কয়েকটি ম্যাচে ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের মান কিন্তু একই রকম নেই। কোহালির দলের শাসন ব্যাট এবং বলে যতটা দেখা যাচ্ছে, ততটা ফিল্ডিংয়ে নয়। যে ব্যাপারে ‘‘আরও উন্নতি করতে হবে’’ বলে মনে করছেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর। আর এ ব্যাপারে অধিনায়কের চেয়ে বড় উদাহরণ যে হয় না, সেটাও বলছেন তিনি।
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও দেখা গিয়েছে, সেঞ্চুরি করা রস টেলরের ক্যাচ রবীন্দ্র জাডেজার বলে ফস্কেছেন কুলদীপ যাদব। তখন টেলর ১০ রানে ব্যাট করছিলেন। মণীশ পাণ্ডেও সুযোগ ফস্কান টম লাথামকে রান আউট করার। উল্টে সেই প্রয়াসে ওভার থ্রো-তে চার রান দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে ভারত ম্যাচটা হারে। ‘‘মণীশ সেই সময় একটা সুযোগ নিয়েছিল। ওকে তা নিতেই হত। সেই সময় আমাদের উইকেটের প্রয়োজন ছিল। নিউজ়িল্যান্ডে খুব উঁচু ক্যাচ ধরা শক্ত। তবে এগুলো কোনও অজুহাত নয়। কুলদীপের ফিটনেস নিয়ে তিনি। বলেন, ‘‘কুলদীপ পুরো ফিট। কোনও চোট নেই ওর। হয়তো কুলদীপ এমন একজন, যাকে ছন্দে থাকতে গেলে প্রচুর ওভার বল করাটা আবশ্যক।’’
আরও পড়ুন: দিনরাতের টেস্টে প্রথম পর্বটাই কঠিন, বলছেন সচিন
এখানেই উঠে আসছে কোহালি যে দুরন্ত দক্ষতায় নিউজ়িল্যান্ডের হেনরি নিকোলসকে রান আউট করেছেন, সেই প্রসঙ্গ। তখন ৭৮ রানে ব্যাট করছিলেন নিকোলস। কভার অঞ্চল থেকে অসাধারণ থ্রো-তে স্টাম্প ভেঙে দেন কোহালি। ‘‘নিকোলসকে গতিতে পরাস্ত করে রান আউট করেছিল বিরাট। আমি সব সময় বলি দলের তরুণ সদস্যদের, তোমাদের সামনে এ রকম এক জন উদাহরণ রয়েছে। ওকে অনুকরণ কর। বিরাট কী কী করে, সেটা লক্ষ্য কর।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘মাঠের বাইরে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে তৈরি রাখা এবং যেটা করতে চাইছি, তা কতটা করতে পারছি সেটাই আসল। ’’
আরও পড়ুন: যশস্বীদের আগাম শুভেচ্ছা ঋদ্ধিদের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy