অর্জুনকে যেন তাঁর সঙ্গে তুলনা করা না হয়, স্পষ্ট বলে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। এমনটা হওয়া যে খুব স্বাভাবিক সেটা ভাল মতোই জানেন মাস্টার ব্লাস্টার। বার বারই বড় বাবা-মা-এর সন্তানদের এই তুলনার মুখে পড়তে হয়েছে। আর সেই ছেলে-মেয়েরা ব্যর্থ হলে হতাশায় ডুবে গিয়েছেন। তেমনটা চান না সচিন। তাই হয়ত ছেলের প্রসঙ্গ আসতেই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা দু’জন আলাদা মানুষ।
গ্রেটার নয়ডায় বুধবার এক অটো এক্সপো-র আসরে ছেলে অর্জুন তেন্ডুলকর প্রসঙ্গ আসতেই সচিন জানিয়ে দেন, তিনি ছেলেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন যাতে তিনি তাঁর নিজের পছন্দটা বেছে নিতে পারে। তেন্ডুলকর বলেন, ‘‘ও চেষ্টা করছে। আমার বাবা যে ভাবে আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছিল আমিও তেমনভাবে ওকে দিই। ও জীবনে যা করতে চায়, সেটায় যেন সেরাটা দিতে পারে।’’
তাঁর ছেলে হওয়াটা অর্জুনের উপর বাড়তি চাপ। আর এই চাপ যে কোনও সময় অর্জুনের ফোকাস নষ্ট করে দিতে পারে, জানেন সচিন। তবুও আত্মবিশ্বাসী ছেলেকে নিয়ে। বলেন, ‘‘ওগুলো তো থাকবেই। কিন্তু ওর মন সব সময় খেলায় ও ওর যেটা প্যাশন তাতে থাকা উচিৎ। একজন বাবা হিসেবে আমি এটাই চাইতে পারি। তুলনা হবে। আমি আমার বাবার থেকে শিখেছি যে কাজটাই তুমি কর না কেন সেটা মন দিয়েকর।’’
আরও পড়ুন
দৌড়ে ১০০, ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম বিরাট
সচিনের মতে, একজনের কাজ ওটাই। বাকিটা হতে থাকবে। জীবনের ওঠা-পড়াও থাকবে। যদি প্যাশন থাকে তা হলে সব বাঁধাও কাটিয়ে ওঠা যায়।সচিন নিজেও এটাই মেনে চলেন। আর এটা মেনে চলতে গিয়ে জীবনের অভিজ্ঞতাটা তাঁর বেশ ভালই বলে জানিয়েছেন সচিন। বলেন,‘‘যে ভাবে আমার বাবা আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে তাতে দায়িত্বজ্ঞ্যান এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। আর আমিও সেটাই করার চেষ্টা করি।’’
সম্প্রতি গ্লোবাল টি২০ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় খেলে নিজেকে চিনিয়েছেন অর্জুন। ১৮ বছরের অর্জুনকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়া মিডিয়ারও কম উৎসাহ ছিল না। যেখানে চার উইকেট এসেছে তাঁর ঝুলিতে। সঙ্গে ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংসও খেলেছেন ব্যাটহাতে।